
ওঙ্কার ডেস্ক : স্ত্রী আগে অন্য পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন, আদালতে এমন অভিযোগ এনে তাঁর কুমারীত্ব পরীক্ষার দাবি জানিয়ে ছিলেন ছত্তিশগড়ের এক ব্যক্তি। এই মামলায় ছত্রিশগড় হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম কুমার বার্মা জানিয়ে দিলেন, মেয়েদের তার কুমারীত্বের প্রমাণ দিতে বাধ্য করা যাবে না।
কোন মেয়েকে কুমারীত্ব পরীক্ষা করতে বলা সংবিধানের ২১তম ধারার অধীনে তার জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। সাম্প্রতিক এক মামলায় এমনটাই জানলো ছত্রিশগড় হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, কোনো পরিস্থিতিতে কুমারিত্ব পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
স্ত্রীর কুমারীত্ব পরীক্ষা করাতে চেয়ে আবেদনকারীর দাবি ‘অসাংবিধানিক’ বলেও উল্লেখ করেছে হাই কোর্ট। কারণ এটি সংবিধান সম্মত নয়। বিচারপতি বর্মা বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধানের ২১তম অনুচ্ছেদ কেবল জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারই নিশ্চিত করে না, বরং মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকারও সুনিশ্চিত করে, যা বিশেষত নারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল হিন্দু বিবাহ আইন মেনে বিয়ে হয়েছিল ছত্রিশগড়ের করুয়া জেলার বাসিন্দা ওই দম্পতির। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরে তরুণী তার পরিবারকে জানায়, তার স্বামী পুরুষত্বহীন। এই নিয়ে ২০২৪ সালের ২ জুলাই রায়গঞ্জ জেলার পারিবারিক আদালতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ১৪৪ ধারার অধীনে স্বামীর কাছ থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা ভরণপোষণ চেয়ে আবেদন করে ওই তরুণী। তখন স্বামীর তার স্ত্রীর ওপরে পাল্টা অভিযোগ আনেন। আদালতকে জানায়, ভাইয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ককে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তার স্ত্রী ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে। তাই স্ত্রীর কুমারিত্ব পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়।
গত ১৫ অক্টোবর পারিবারিক আদালত স্বামীর আবেদন খারিজ করে দেয়। কিন্তু তারপরেই হাই কোর্টে ফৌজদারি আবেদন দায়ের করেন তিনি। হাই কোর্টও সেই আবেদন খারিজ করল ।