
তামসী রায় প্রধান, কলকাতাঃ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আইএসএফ বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বউবাজার থানার পুলিশ।
গত কাল অর্থত বুধবার, নওশাদের বিরুদ্ধে নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানান জনৈক তরুণী। তাঁর অভিযোগ বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি এর মাধ্যমে সেই অভিযোগপত্র কলকাতা পুলিশের কাছে এসে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রের খবর, দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, দেড় বছর আগে বউবাজার থানা এলাকার, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের অফিসে মহিলা অভিযোগকারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। এরপর থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায়শই সহবাস করতেন অভিযুক্ত আইএসএফ বিধায়ক। অভিযোগকারী মহিলা যখন বিয়ের জন্য চাপ দেন, তখনই অভিযুক্ত এড়িয়ে যেতে থাকেন ও ওই মহিলাকে হুমকি দেন। এমনকি তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তরুণী।
এদিকে আইএসএফ নেতৃত্ব আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাদের বিধায়ককে গ্রেফতার করতে চাইছে শাসক দল। তাঁর প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলের ভাঙড়ের অবজারভার সব্যসাচী দত্তের ভূমিকা নিয়েও। কারণ হিসেবে আইএসএফ নেতৃত্ব জানিয়েছেন অভিযোগকারী তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে নিউ টাউন থানায় গিয়েছিলেন সব্যসাচী।
প্রসঙ্গত, অভিযোগকারী তরুণী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে নওশাদ তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় কবে, কীভাবে ঘনিষ্ঠতা তা নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। বরং অভিযোগকারীর দাবি, “আপনাদের যা জানার নওশাদকে জিজ্ঞেস করুন।”
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, “আমার বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ এনেছিল। গ্রেপ্তারও করেছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু আটকে রাখতে পারেনি। তাই ভোটের মুখে এসব করা হচ্ছে। সবটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত”।