
স্পোর্টস ডেস্ক :—–সাইকেল চালানো অনেকেরই নেশা। কিন্তু এটাকে আঁকড়ে ধরে কজনই বা বাঁচতে পারে! অনেকেই এই সাইকেল নিয়ে বেঁচে থাকে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ত্রিপুরার বাপি দেবনাথ সবাই তাকে নীল নামেই চেনে। সিনেগ্রাফি নিয়ে ১২ বছর কাজ করলেও সাইকেল তার ধ্যান আর জ্ঞান।এবারে তিনি যাচ্ছেন রামমন্দির। অযোধ্যা রামমন্দির হয়ে
সেখান থেকে কাঠমুন্ডু হয়ে মাউন্ট এভারেষ্ট ব্যাস ক্যাম্প পৌছানো।
পুরো রাইড সবার ডোনেশনে করছেন । এরমধ্যে করছেন সমাজসেবাও
রোজ খাওয়া খরচের পর যেটা থাকবে সেটা দিয়ে শিক্ষা সামগ্রী কিনে দেবেন দুস্থ বাচ্চাদের।
শোভাবাজারে একটা ক্লাবের সহযোগিতায় সেখানের বাচ্চাদের জন্যেও এই রাইড।ত্রিপুরার হলেও বেশি সময় তার কাটে কলকাতাতে। আর প্রায় ৩৫ দিনের সফর শেষ হলে তিনি কলকাতায় ফিরবেন। এদিন বাপি মাহাতো জানালেন,’২০২১ সালে কলকাতা থেকে কন্যাকুমারী হয়ে লাদাখ সিঙ্গেল গিয়ার্ সাইকেল নিয়ে পুরো করি।
উদ্দেশ্যে সেভ ফরেস্ট সেভ ফিউচার,
ইন্ডিয়া নেভার গিভ আপ।
করোনার কাছে ভারত হারবেনা ফাইট ব্যাক করবে সেই বার্তা নিয়েই রাইড ছিল।
সেটা পুরো করার পর নিজেকে তৈরি করা শুরু করি
মাউন্ট এভারেষ্ট ব্যাস ক্যাম্প সাইকেল নিয়ে যাবার জন্যে
সেটার জন্যে সুইজি জয়েন করেছিলাম যাতে আমার সাইকেল চালানর সাথে সাথে কিছু আর্থিক দিকটাও ঠিক থাকে। তাই রোজ বিকেল ৫টা থেকে রাত ৩টে অবধি ডিউটি করতাম (সাইকেল চালাতাম)।
তারপর নিজের এডিটিং বা যদি কোন ভিডিওর কাজ থাকত সেগুলো করতাম। অনেক জায়গায় কথা হয়েছিল কিন্তু কেউ সেভাবে সারা দেয়নি তাই নিজের জমানো কিছু সেভিংস নিয়েই বেরিয়ে পড়েছি। মাঝে মাঝেই কোলকাতা বর্ধমান কলকাতা বা কলকাতা মন্দারমণি কলকাতা রাইড করতাম মাসে একবার বা ২ মাসে একবার করে নিজেকে সক্রিয় রাখার জন্যে।
আমার জানা মতে ১৯৯৭ সালে ৬জনের গ্ৰুপ শুধু মাউন্ট এভারেষ্ট ব্যাস ক্যাম্প গেছিলো সাইকেল নিয়ে তারপর একজন গিয়েছেন উনি তিব্বাত হয়ে যান
এশিয়া থেকে কেউ এখনো সাইকেল নিয়ে যাননি।
আমার উদ্দেশ্যে এটাই বাঙালী হয়ে বাংলার জন্যে আর দেশের জন্যে এই যাত্রা পুরো করতে চাই।
আর্থিকভাবে কিছু আটকে থাকলেও আমি এটা পুরো করে ফিরবই কিভাবে তা জানিনা কিন্তু করে ফিরবো এটা আমি নিশ্চিত।’নিজের সাইকেল প্রেম নিয়ে নীল জানালেন,’আমি ক্লাস সিক্স অথবা সেভেনে পড়ার সময়ে প্রথমে সাইকেল চালান শিখি।এরপর পড়তে যেতাম। এরপরে একদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখে সাইকেল চালানোর নেশা হয়। আর সেটাই শুরু।শিয়ালদহ থেকে মন্দারমণি। এরপর সাহস বাড়তে থাকে আর আসতে আসতে বড়ো লক্ষর দিকে এগিয়ে যাই।’