
বিপ্লব দাশ : “অপারেশন সিঁদুর” যে নিষ্কন্ট ছিল না এমনটাই উঠে আসছে। সম্প্রতি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান প্রতিরক্ষা কর্মী অনিল চৌহান এক টিভি সাক্ষাৎকারে এমনটাই ইংগিত করেছেন। ফলে “২২ তারিখের বদলা ২২ মিনিটে”, এতটা সহজ বোধ হয় নয়। তবে জেনারেল, এটাও বলেছেন, প্রথম দিনের কৌশলগত ভুল সংশোধন করে পরের দুদিন সাফল্য পেয়েছি। ফলে সিঁদুরের সাফল্য যে তুড়ি মেরে এসেছে এমনটা ভাবা বোধ হয় ঠিক নয়। জেনারেল চৌহান আরেকটা কথা জানিয়েছেন, চার দিনের সংঘর্ষ কখনই পারমাণবিক যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছায়নি। তবে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এই সংঘর্ষ গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল বলে তিনি মনে করেন। জেনারেন চৌহানের কথা খাটো করের দেখা উচিত নয়। আর এখানেই সংঘর্ষ বিরোতির পর “অপারেশন সিঁদুর” ভারত জুড়ে যে আকার নিয়েছে, তাতে আবার জেগে উঠছে কার্গিল কিংবা পুলওয়ামা পরবর্তি ঢাকঢোলের আওয়াজ।
একথা বলতে দ্বিধা নেই, ‘সিঁদুর’ এখন রাজনৈতিক প্রোডাক্ট। সেটা কখনও রক্তে বইছে, কখনও মহিলা পুলিশের কপালে। ক্রমেই একটা জাতির গর্ব কলুষিত হচ্ছে রাজনৈতিক কাজিয়ায়। একথা ঠিক, যে কোনো ক্ষমতাশীল দল তার যে কোনো সাফল্যকে রাজনৈতিক ইস্যু করবে, তাকে ভোটে লাগাতে চাইবে। এদিক থেকে মোদীভারত একশ ভাগ সফল। কিন্তু এই রাজনৈতিক প্রপাগান্ডার মধ্যে যেন গলদগুলো চাপা না পড়ে যায়। কারণ, রাজনীতি আর প্রতিরক্ষা এক নয়। যে কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষায় জড়িয়ে থাকে বিনাশের কিছু না কিছু উপাদান। আরও একটা কথা, জাতীয় গর্বকে যদি একটি বিশেষ দল তার অধিকার করে বশে তাহলে সম্মান ধুলোন্ঠিত হয়। কার্গিল কিংবা পুলওয়ামা পরবর্তীকালে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়।