
ওঙ্কার ডেস্ক : ভারত যুদ্ধ চায় না, শান্তিই চায়। কিন্তু পাকিস্তান থেকে যদি প্ররোচনা আসে, তবে তার জবাব দিতে প্রস্তুত নয়াদিল্লি। স্পষ্ট বার্তা দিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তান যদি অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে, তা হলে ‘প্রত্যাঘাত অনিবার্য’।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডোভাল বলেন, ‘‘ভারত চায় না সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ুক। তবে পাকিস্তান যদি এমন কিছু করে যাতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তা হলে আমরা চুপ করে থাকব না।’’
মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ন’টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। নাম ‘অপারেশন সিঁদুরে’। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক লঞ্চ প্যাড ও অস্ত্রভান্ডার। সেনা সূত্রে খবর, নিহত হয়েছে বহু জঙ্গি। এই ঘটনার পরেই সক্রিয় হন ডোভাল। রাত পোহাতেই মার্কিন বিদেশসচিব ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও-সহ একাধিক দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।
সূত্রের খবর, আমেরিকা ছাড়াও ব্রিটেন, সৌদি আরব, জাপান, রাশিয়া, চিন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ফ্রান্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ডোভাল। ভারতের সামরিক পদক্ষেপের পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করেন তাঁদের কাছে। বলেন, ‘‘ভারতের উদ্দেশ্য কখনই আগ্রাসী নয়। কিন্তু নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’
ব্রিটেনের জোনাথন পাওয়েল, সৌদি আরবের মুসাইদ আল আইবান, জাপানের মাসাতাকা ওকানো, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এইচএইচ শেখ তাহনুন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বন— ডোভালের এই তালিকা থেকে বাদ যাননি কেউই।
সরকারি এক কর্তার ভাষায়, ‘‘ডোভাল বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভারত উত্তেজনা চায় না। কিন্তু পাকিস্তান যদি সংঘর্ষের পথ নেয়, তা হলে প্রত্যাঘাত অবশ্যম্ভাবী।’’
বিশ্লেষকদের মতে, এই কূটনৈতিক সক্রিয়তা এক দিকে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করল, অন্য দিকে প্রতিবেশী দেশগুলিকে সতর্ক বার্তাও দিয়ে রাখল। এই মুহূর্তে উপত্যকায় নজর রাখছে গোটা বিশ্ব। প্রশ্ন একটাই— সীমান্তে শান্তি ফিরবে, না কি পরিস্থিতি আরও জটিলতর হবে ?