
আমজাদ আলী শেখ, পূর্ব বর্ধমান : আগে দেখা পাওয়া দায় ছিল। কিন্তু এখন আউশগ্রাম জঙ্গলে গেলেই দেখা মিলবে সারি সারি ময়ূরের। ভাগ্য ভাল হলে পেখম মেলে ময়ূরের নাচও দেখা যেতে পারে. জানা যায়, কাঁকসা জঙ্গলমহলের দেউল এলাকায় কয়েকটি ময়ূর ছেড়েছিল বনবিভাগ। উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে ময়ূরের বংশবৃদ্ধি হয়। দুবছর আগে আদুরিয়া জঙ্গল এলাকায় ময়ূরের সংখ্যা ছিল ৪০- ৪৫ টি. বর্তমানে যা বেড়ে হয়েছে তিনশোর কাছাকাছি।
হেদোগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তুহিন কোনার জানান, গ্রামবাসীরা ময়ূরগুলি রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। বাইরের লোক এলে তাদের সম্পর্কে আগে ভাল করে খোঁজ খবর নেওয়া হয় চোরাশিকারি কিনা। এছাড়া বনবিভাগ থেকেও সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হয়। পাশাপাশি তিনি জানান, এই এলাকায় রাত্রিবাস করার ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য নেই। তাই এলাকায় একটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক ও কটেজের ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে, এলাকার আর্থিক উন্নতিও হবে।
আদুরিয়া ছাড়াও প্রেমগঞ্জ, রাঙাখুলা, প্রভৃতি গ্রামেও ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এক একটি ঝাঁকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি ময়ূর রয়েছে। আর ময়ূরের দল চাক্ষুষ করতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।