
নিজস্ব সংবাদদাতা : কাশ্মীরে নিরীহ পর্যটকদের ওপর হামলার পর থেকেই ভারত – পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি উত্তেজনা চূড়ায়। “অপারেশন সিঁদুর” এর পর প্রথম রাজস্থানের বিকানে গিয়ে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই পাকিস্তানের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। পহেলগামের হত্যাকাণ্ড নিয়েও কথা বলেন তিনি। ভারতের জল পাবে না পাকিস্তান, ভারতীয়দের রক্ত নিয়ে খেলার জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। বিকানেরের দেশনোকে দেশের ১০৩টি অমৃত ভারত স্টেশনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই ভাষায় কার্যত হুঙ্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এটি প্রতিশোধ নয়, এটি ন্যায়বিচার- এটি অপারেশন সিন্দুর”। তিনি এটিকে একটি শক্তিশালী ভারতের রৌদ্র রূপ বলে অভিহিত করেন। ভারত-পাক এর এই যুদ্ধে নৌবাহিনী, স্থলবাহিনী ও বায়ুবাহিনীকে কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছিল সরকার। এছাড়াও রাজস্থানের জনসভা থেকে মোদী জানান, আমরা কথা দিয়েছিলাম মা বোনেদের সিঁদুরের বদলা নেব, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। সিঁদুর যখন বারুদ হয়, ফল দেখল দেশবাসী। এছাড়াও জানান,পাকিস্তানকে তছনছ করে দিয়েছি। সাফ জানিয়ে দেন মোদী, “আগে আমরা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আক্রমণ করতাম, এখন আমরা তাদের বুকে আঘাত করি। এটি ভারতের নতুন মুখ – যা সন্ত্রাসকে তার মূল থেকে চূর্ণ করে দেয়”
আগামী ২৯ শে মে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে এক জনসভায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সূত্রের খবর ২৯ শে মে আলিপুরদুয়ারে জনসভা ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী চলে যাবেন সিকিমের উদ্দেশ্যে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত আলিপুরদুয়ারের বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড ময়দান পরিদর্শনে আসেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিজ্ঞাসহ আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির নেতৃত্বর।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও বেশ খানিকটা দেরি। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের কারণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিশেষত ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ভারত-পাক সামরিক সংঘাতের পর প্রধানমন্ত্রীর এই বঙ্গ-সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, প্রশাসনিক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, বিভিন্ন রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন। তবে প্রশাসনিক সভাটি কোথায় হবে, তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় দেখছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
তবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না বিজেপি। মোদীর আলিপুরদুয়ারে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে বিজেপি নেতা তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বলেন, “অপারেশন সিঁদুর-পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখানে একটি প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনৈতিক সভাটির প্রস্তুতির দায়িত্বে আমরা রয়েছি। সেই প্রস্তুতি আমরা আজ থেকেই শুরু করে দিলাম।” আগামী ২৯ শে মে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে এক জনসভায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।