
সুমন গঙ্গোপাধ্যায়ঃ রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যাতে কয়েক লক্ষ গীতা বিতরনের সিদ্ধান্ত নিল ইসকন। ইতিমধ্যেই রাম মন্দির ট্রাস্ট এর পক্ষে থেকে আমন্ত্রন পত্র পৌঁছে গিয়েছে তাদের কাছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২২ তারিখ মহা ধুমধামে অযোধ্যাতে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একাধিক সাধারন নাগরিক থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে গিয়েছে নিয়ন্ত্রন পত্র l যদিও এই উদ্বোধন নিয়ে একাধিক বিতর্কও তৈরি হয়েছে । কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ২৪শে নির্বাচনের আগে রাম মন্দির উদ্বোধন কে রীতিমতো রাজনৈতিক গিমিক বলে মনে করছে। এ বিতর্ক আরো বাড়িয়েছেন দেশের দুই অন্যতম শংকরাচার্য। উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপিঠের শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ ও পুরীর গোবর্ধন মঠের স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। সনাতন ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে এই দুই শংকরাচার্য নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাসের বক্তব্য,” ২২ তারিখ রাম মন্দির উদ্বোধনে আমাদের কেউ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওই কদিন রাম মন্দিরের সামনে প্রায় ৩ লক্ষ গীতা বিতরণ করব। দেশে এই মুহূর্তে গীতার শিক্ষা জরুরী হয়ে পড়ছে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এর পাশাপাশি টানা এক মাস রাম মন্দিরে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ এবং হরিনাম সংকীর্তনও করবে ইসকনের ভক্তরা। তবে রাম মন্দির নিয়ে যখন ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরী হয়েছে, সেই ধরনের কোনও রকম বিতর্কে থাকতে চায় না ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস।
উল্টে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়াল ইসকন। রসিক গোবিন্দ দাসের স্পষ্ট বক্তব্য,” যে শংকরাচার্যরা উদ্বোধনে যাবেন না বলছেন সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত মত। রীতিমত পঞ্জিকা দেখে নিয়ম মেনেই উদ্বোধনের তারিখ ঠিক হয়েছে তাই এই নিয়ে অযথা বিতর্ক করা ঠিক নয়।” সনাতনী বিধি মেনে মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে না বলে শনিবারই এই গঙ্গা সাগরে বসে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন পুরীর গোবর্ধন মঠের শংকরাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। তা নিয়ে ইসকনের মত স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন,” আমাদের খুব স্পষ্ট বক্তব্য, যারা এই গোটা উদ্বোধনের বিষয়টিতে জড়িত তারাও তো সনাতন ধর্মের তাই স্বাভাবিকভাবে তারাও সমাধানই বিধি-নিষেধ বা সনাতন ধর্মের নিয়মকানুন জানেন, তারা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং বিতর্ক করা ঠিক নয়।” পাশাপাশি তাদের স্পষ্ট বক্তব্য,” রাষ্ট্র প্রধান যদি রাষ্ট্রের হিতের জন্যে কিছু করেন সেটা মেনে নেওয়া ভালো।”
প্রসঙ্গত, প্রতিবারের মতো এই গঙ্গা সাগরেও নিজেদের ক্যাম্প করেছে ইসকন। প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় ৫ হাজার মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে ইসকন। তাদের লক্ষ ১০-১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া