
সুমন্ত দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ আর জি কর কাণ্ডের পর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে হাসপাতালের জুনিয়র আবাসিক চিকিৎসকদের আইনজীবী গীতা লুথরা চিকিৎসক পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গীতা লুথরা বলেন, আমার চিকিৎসক পড়ুয়ারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
দেশের সর্বচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, কারা ভয় দেখাচ্ছে? যে ডাক্তাররা এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন, তাঁদের টার্গেট করা হতে পারে। এই আশঙ্কায় ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
আইনজীবীঃ আধিকারিকরা, গুন্ডাদের হামলার ভয় রয়েছে।
প্রবীন আইনজীবী গীতা আরও বলেনঃ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। হাসপাতালে আরও যারা থাকে তারাও হামলা করতে পারে।
প্রধান বিচারপতিঃ ঠিক আছে। আমি এটা নজরে রাখছি।
এদিন এজলাসে, জুনিয়র চিকিৎসকদের অমানুষিক ডিউটি দেওয়া বিষয় নিয়েও প্রধান বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয় তাঁরা যেন ডাক্তারদের পরিস্থিতি নিয়ে বিবেচনা করেন।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষন, প্রত্যেক ডাক্তারেরই পরিবার-পরিজন আছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, চিকিৎসকদের ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা খাটানো হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, তা না হলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাবেন কী করে? আপনারা কাজে ফিরলে কর্তৃপক্ষ যাতে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারে, তা আদালত দেখবে। ডাক্তাররা কাজ না করলে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো কীভাবে চলবে।