
স্পোর্টস ডেস্ক ———–বাংলার ক্রিকেটের রোহিত । না রোহিত শর্মা নন রোহিত কুমার। উঠে আসার লড়াইটা অনেকটা গলি থেকে রাজপথের মতোই।বাবা পেশায় সি এল ডব্লিউ এর কর্মচারী।পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন থেকে এসে কলকাতার ময়দানের বিভিন্ন নাম করা ক্লাবের হয়ে এবং বাংলার হয়ে খেলার জার্নি টা মোটেও সহজ ছিল না রোহিতের। রোহিত ছোটো থেকেই ক্রিকেট পাগল। সানডে অ্যাকাডেমি চিত্তরঞ্জনে রাজীব দত্তের কাছে হাতেখড়ি হয় রোহিতের। রোহিতের ভাগ্যের চাবি খুললো ২০১৮ সালে। একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে চিত্তরঞ্জনে উপস্থিত হয় বালক সংঘ। ওইসময়ে বালক সংঘের কোচ ছিলেন কুণাল বসু। জহুরীর চোখ সোনা চিনতে ভুল করেনি সেদিন। ওই ফ্রেন্ডলি ম্যাচের অল রাউন্ড পারফর্ম দেখে কুণাল বসু তৎক্ষণাৎই চিত্তরঞ্জন সানডে অ্যাকাডেমির কোচ রাজীব দত্তের কাছে প্রস্তাব রাখেন বালক সংঘে সেকেন্ড ডিভিশনে যুক্ত করতে চায় রোহিতকে। এরপর শুরু হয় রোহিতের জীবনের নতুন অধ্যায়। সুদূর চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতায় পাড়ি দিলো রোহিত। এর বাড়ী তার বাড়ী থেকে থেকে ২০১৮ সালে খেলল জীবনের প্রথম সেকেন্ড ডিভিশন বালক সংঘের হয়ে। সেকেন্ড ডিভিশনে রাজকীয় চোখ ধাঁধানো অলরাউন্ড পারফর্মেন্স ছিল রোহিতের ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিল ৫২৭ রান। এবং বল হাতে নিয়েছিল ৩১ টা উইকেট। তারপর বেঙ্গল ক্রিকেট থেকে আসে অনূর্ধ্ব উনিশের ট্রায়ালের ডাক। রোহিত কোচবিহার ট্রফিতে বাংলার হয়ে ছয় ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়েছিল। এরপর চোটের কারণে ছিটকে যায় বাংলা দল থেকে। চোট সারিয়ে রোহিত আবার ফেরে মাঠে।২০১৮ সালে সেকেন্ড ডিভিশনের দূর্দান্ত পারফর্মেন্সের জেরে ২০১৯ সালে রোহিতের সিলেকশন হয় ইস্ট বেঙ্গল প্রথম ডিভিশন দলে। প্রথম বছরে প্রথম ডিভিশনে সেইরূপ সুযোগ পায়নি রোহিত।তারপর কোভিডের জন্য আবারও কিছুটা পিছিয়ে যায়। সকল চড়াই উৎরাই পেরিয়ে রোহিত ২০২২ -২৩ বর্ষে যোগ দেয় শ্যামবাজার ক্লাবে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩-২০২৪ বর্ষে তাকে দলে নেয় মোহনবাগান ক্লাব। মোহন বাগান ক্লাবের হয়ে রোহিত নেয় ৪০ টি উইকেট। বোর্ড ম্যাচে উইকেটের সংখ্যা ২৩
এছাড়াও রোহিত বাংলার হয়ে অনূর্ধ্ব ২৫ ও অনূর্ধ্ব ২৩ খেলেন। রোহিতের পরবর্তী লক্ষ্য সিনিয়র বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি খেলা।এই বছর বেঙ্গল প্রো টি -২০ লীগে সার্ভো টেক শিলিগুড়ি স্ট্রাইকারস দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে রোহিত কুমার কে । এদিন রোহিত জানালেন,’এটা একটা আমার কাছে বড়ো সুযোগ অনেকের নজর থাকবে এই টুর্নামেন্টে। ভালো যদি আমি করতে পারি তাহলে সুযোগ পাওয়া যাবে বড়ো টুর্নামেন্টে। আমি সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’ এদিকে সিএবির পর্যবেক্ষক কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মল্লিকও জানালেন,’রোহিতের মত অনেকের কাছেই এই ধরণের টুর্নামেন্ট একটা বড়ো পরীক্ষা।। আমি সিএবিকে ধন্যবাদ নতুন প্রতিভাদের জন্য এমন একটা মঞ্চ তৈরী করেছে।’