
অরিন্দম হরি,সন্দেশখালি: সিপিএমের ডাকে সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র সাড়া। মূল সন্দেশখালি এলাকায় বন্ধের বেশ কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বেশিরভাগ দোকানপাটই বন্ধ। রাস্তায় যান বাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। যদিও দ্বীপ অঞ্চলগুলিতে জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক আছে বলে খবর। রয়েছে চাপা উত্তেজনাও। চলছে পুলিশি টহল। সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ সন্দেশখালির বিভিন্ন অংশে। অন্যদিকে বসিরহাটের এসপি অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে সিপিআইএম-এর। পাশাপাশি নিরাপদ সর্দারকে এদিন বসিরহাট কোর্টে তোলার কথা। প্রসঙ্গত সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শুভ হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে আগুন এবং বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ মোট ১১১ জনের নামে এফআইআর করেছিল। তার মধ্যে এক নম্বর নাম ছিল সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের। পুলিশ রবিবার বাঁশদ্রোণী থানা এলাকা থেকে নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করে। এরপরই সিপিএম সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ বসিরহাট কোর্টে নিরাপদে সর্দারকে তোলবার কথা। নিরাপদ সরদারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিপিআইএম সন্দেশ খালি এক এবং দুই নম্বর ব্লকে বন্ধের ডাক দেয় । সোমবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে মিনাখা বিডিও অফিসের সামনে প্রায় ৪ মিনিট থমকে যায় রাজ্যপালের কনভয়। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। এদিন সাড়ে ১১ টা নাগাদ ধামাখালি পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মিনাখাঁ, মালঞ্চ, বামনপুকুর, কালীতলায় ফ্লাগ, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সমর্থিত জনতা। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থক ও গ্রামবাসীরা।
এদিকে ৫০ জন বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালি আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে তাকে সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।