
অপরূপা কাঞ্জিলাল: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন প্রায় আড়াই মাস ব্যাপী চলার পর নির্বাচনী ফলাফলে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসীন হতে চলেছে এনডিএ জোট। এক্ষেত্রে এনডিএ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মান্যতা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। তাই তৃতীয়বারের মতো ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্ষেত্রে বিশিষ্ট মানুষদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক বরাবরই বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রেও তাই নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা এমনটা প্রথম থেকেই ধারণা করা যাচ্ছিল। শনিবার দেখা গেল সেই দৃশ্য। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শুক্রবার তার দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা জানানো হলেও পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যাবেন শনিবার। সেই মতোই শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি রওনা হন।স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা দিল্লিতে পৌঁছান বোলে জানা যায়।পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী মুকতেশ পরদেশি, বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান অভ্যর্থনা জানান। মনিপুরী নৃত্য গীতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানানো হয়। জানা যাচ্ছে নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। আর এই বৈঠকেই উঠে আসতে পারে আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়। এখানেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হিসেবে উঠে আসতে পারে তিস্তার জল বণ্টনের বিষয়।দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পরে শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন।এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রবিবার নয়াদিল্লিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বোলে জানা যাচ্ছে।