
নিজস্ব সংবাদদাতা : ভবিষ্যৎ নিয়ে কার্যত দিশেহারা আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকারা। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার। এখনো পর্যন্ত সুরাহা মেলেনি। যতদিন না সুরাহা মিলবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে চাকরি হারারা তা মুখে বললেও চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্পষ্টতা থেকেই যাচ্ছে। উত্তর দেবে কে ? তবু চাকরি ফেরতের দাবিতে অনড় তারা, বিকাশ ভবনের সামনে চলছে লাগাতার আন্দোলন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের এই অনিশ্চিত দাবির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি লিখলেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, পুনরায় পরীক্ষা না দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-অশিক্ষা কর্মীরা আলোচনা করতে চাইছেন। আগামী বুধবার বিকেলে চাকরিহারারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলে মিলতে পারে সমাধান সূত্র।
বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি এক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বহু পরিবারের জীবিকা এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও স্পষ্ট বার্তা না আসায় ক্ষোভও বাড়ছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বহু টানাপোড়েনের পর সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতনও পাবেন। তবে অশিক্ষক কর্মীরা আপাতত চাকরিহারা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এসএসসিকে। তবে আর পরীক্ষা দিতে নারাজ ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। এমন এক টানাপোড়েন নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে টানা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।