
নিজস্ব সংবাদদাতা : সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় কয়েকদিন ধরে অশান্ত মুর্শিদাবাদ। ইতিমধ্যে ২০০-র বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। চলছে ধরপাকড়।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জেলায় শনিবার রাত থেকে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার উপদ্রুত এলাকায় বিশেষ তদন্তকারী দলের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন শশাঙ্ক শেখর ঝা নামে এক আইনজীবী। তিনি আবেদন করেছেন, সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে শুধু হাইকোর্ট নয়, শীর্ষ আদালতেরও নজর দেওয়া উচিত।
গত শুক্রবার থেকে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে লাগামছাড়া সংঘর্ষ। আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু মানুষ। তাদের অনেকেই এখন মালদা, জলপাইগুড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আগের থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সম্পূর্ণ চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৯ জন তাদের বাড়িতে ফিরেও গেছেন। বাকি যারা এখনও ঘরছাড়া তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছিলেন বটে যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সবরকম চেষ্টা চলছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় নতুন করে কোথাও কোনও রকম উত্তেজনা ছড়ায়নি। অথচ এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জ। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে আক্রমণাত্বক জনতা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে ছুটে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
এরপর বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী পদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় ফের নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় জাফরাবাদ এলাকায়। বর্তমানে এলাকায় টহল দিচ্ছেন তাঁরা।
এদিকে সোমবার মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকায় অশান্তি বাধে। ওয়াকাফ আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একাংশ। কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার কুলি চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এমন পরিস্থিতিতেই এবার মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দলের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের হল শীর্ষ আদালতে।