
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা : ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের সেই বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দীপক বর্মণকে কেন সাসপেন্ড করা হয়েছিল ? চলতি মার্চ মাসের ১০ তারিখে বিধানসভার অধিবেশনে নিষেধ সত্ত্বেও কথা বলার কারণে বিজেপির শঙ্কর ঘোষ এবং মনোজ ওঁরাও দুই বিধায়ককে মার্শাল ডেকে বের করে দিয়েছিলেন স্পিকার। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভার কার্যবিবরণীর কাগজ ছেঁড়েন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক। যার পর বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিধায়ককে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য এই শাস্তি নেমে আসে গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের উপর। সেই সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। এদিকে চলতি বাজেট অধিবেশন চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। তাই দু’দিনের জন্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে পারতেন শুভেন্দু। কিন্তু দীপককে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে তিনি যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। শুভেন্দুর এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক লাভালাভের দিকটিই দেখছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। বিধানসভায় এই মুহূর্তে আর তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ইস্যু না থাকায় শুভেন্দু নিজের দলের বিধায়কদের প্রতি সহানুভুতির তাস খেললেন বলে মনে করছেন তাঁরা।