
নিজস্ব সংবাদদাতা : আলিপুরদুয়ারের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদীর সিঁদুর রাজনীতির জবাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্র তীব্র কটাক্ষের জবাব দিলেন তৃণমূলের তিন নেত্রী রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, কিসের অপারেশন বেঙ্গল ? চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন, “সিঁদুর নিয়ে খেলবেন না”। আরজিকর থেকে মুর্শিদাবাদ, ওয়াকফ থেকে নির্বাচনী সন্ত্রাস- অমিত শাহ্ সমস্ত কটাক্ষের জবাব দিলেন চন্দ্রিমা।
চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন সন্ত্রাস রিগিং ছাড়া ভোট করে দেখান। আমরা প্রশ্ন করতে চাই, ইলেকশনটা কে করবে ? করবে তো আপনার ইলেকশন কমিশন। আপনি বলছেন আমরা সন্ত্রাস করব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ত্রাস করাবেন। তাহলে ব্যর্থতা কার ?” এদিন তৃণমূল ভবনে চন্দ্রিমা বললেন, “যখন অপারেশন সিঁদুর হয়েছে। আমরা এই নিয়ে বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে অবধি পাঁচটি রাষ্ট্রে ঘুরলেন, প্রতিনিধিদলে শামিল হলেন। দেশের কথা বললেন, এক কণ্ঠে এক সুরে কথা বললেন। তখন আপনি এখানে এসে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে অপমানসূচক খেলা তৈরি করলেন।’’
প্রসঙ্গত তিনি ২৯ তারিখ আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে টেনে আনেন। বললেন, “সেখানেও উঠেছিল অপারেশন বেঙ্গল। আর আজ যিনি আপনার এ রাজ্যের সভাপতি তিনিও অপারেশন বেঙ্গলের কথা বললেন। কিসের অপরাশেন ? বিজেপির কর্মীরা নাকি দেখবেন, অপরেশন বেঙ্গল হবে। এর মানেটা কি আমরা জানতে চাই। অর্থাৎ আপনারা জোর জবরদস্তি করতে চাইছেন, ইলেকশন কমিশনকে দিয়ে। বিবাহিত মেয়েদের কাছে অতি পবিত্র জিনিস এরা বাজারে বিক্রি করছে।’’
চন্দ্রিমার কথার রেশ ধরে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘দেশের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী রাজ্য সরকারের অনুমতি পেয়ে একটি সভা করতে পারলেন। অথচ মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি কিউৎসা করে গেলেন”। তিনি আরও বলেন, ‘‘সধবা মহিলার মাথার সিঁদুর বেচতে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন দু’দিন আগে বলে গেলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বলে গেলেন আর তাদের লেজুড় হয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রী অপমান করলেন, তার জবাব বাংলার মহিলারা রাস্তায় নেমে দেবেন।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এসে বিজেপি ক্যাডারের মতো কথা বলেছেন বলে জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাঙ্গসদ সাগরিকা ঘোষ। বললেন, “তৃণমূলের কোনও নেতা গুজরাতে গিয়ে এমন সভা করতে পারবেন? স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় হিংসা হয়েছে গুজরাতে ২০০২ সালে। যখন তিনি গুজরাতের দায়িত্বে ছিলেন”। তাঁর অভিযোগ, পহেলহগাঁওয়ে কী ভাবে জঙ্গিহানা সম্ভব হল, তার কোনও খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ছিল না। অন্য কেউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে সঙ্গে সঙ্গেই পদত্যাগ করতেন। পদ আঁকড়ে বসে থাকতেন না।’’