
বিপ্লব দাশ, কনটেন্ট হেড
আরজি কর মামলায় আদালতের রায়ে শনিবার দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কিন্তু আদালতের বাইরে এনিয়ে ‘দ্বন্দ্ব এবং বিতর্ক’ রয়েই গেল। অপরাধী কি সঞ্জয় একাই? নাকি একাধিক? নাকি অপরাধী সঞ্জয় নন? অন্য কেউ বা কারা? নিম্ন আদালত সাজা ঘোষণা করার পর তা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ-আদালতে যাওয়ার কথা বলছেন সঞ্জয়ের আইনজীবীরা।
‘দোষী সঞ্জয়’! হেতাল পারেখ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ধনঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হয়েছিল। এনিয়ে আজও প্রশ্ন উঠে। সঞ্জয়ের ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’-এর প্রসঙ্গ উঠবে নাতো?
ভবানীপুরের একটি আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ সেই আবাসনের বাসিন্দা এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় প্রথমে ধনঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া চলার পর তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।
তুমুল বিতর্ক ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও ২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট আদালতের সেই রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসি হয় ধনঞ্জয়ের। ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা আজও মনে করেন, ধনঞ্জয় আসলে এক ‘গভীর ষড়যন্ত্র’-এর শিকার হয়েছিল। ধর্ষিতা ও নিহত ছাত্রী এক প্রভাবশালী পরিবারের কন্যা ছিল। সেই কারণেই ধনঞ্জয়ের উপর ঘটনার পুরো দায় চাপিয়ে ‘আসল অপরাধী’কে বাঁচিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
আরজি কর-কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ই একমাত্র অভিযুক্ত— এই তথ্য মানছেন না নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআইয়ের তদন্তেও ‘আশাহত’ তাঁরা। আরজি করের মতো একটি জনবহুল হাসপাতাল, সেখানে বাইরের কেউ ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল আর হাসপাতালের কেউই সেটা জানতে পারল না— এই ‘তত্ত্ব’ বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন। সংশয়, হতাশা নিয়ে সত্য উদঘাটনের আশায় আমরা সকলেই। এখন ভরসা শীর্ষ আদালত।