
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়িঃ গজলডোবায় লুট হয়েছে সরকারি জমি। অভিযোগ জমি লুট করেছে তৃণমূল নেতাদের একাংশ। সরকারি জমিতে তারা তৈরী করেছেন বাগান বাড়ি থেকে রিসোর্ট। এবার সরকারি জমি দখলমুক্তে নামল ব্লক প্রশাসন। ভাঙা হল শিলিগুড়ির প্রভাব শালী তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীল শর্মার রিসোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরকারি সমীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতেই মাথায় হাত প্রশাসনের। গজলডোবার মিলনপল্লি মোড় থেকে ভ্রামরীদেবীর মন্দির পর্যন্ত রাস্তার দু’দিকে অন্তত ১০০০ একর সরকারি জমি জবর দখল হয়েছে বলে সরকারি সমীক্ষা উঠে এসেছে। সরকারি জমিতে তৈরী হয়েছে বাগান বাড়ি থেকে রিসোর্ট। আর সে সব জমির সিংহ ভাগ লুট করেছে তৃণমূল নেতাদের একাংশ বলে অভিযোগ। এবার বুল্ডোজার চালিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হল শিলিগুড়ির প্রভাব শালী তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীল শর্মার রিসোর্ট। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ রঞ্জন শীল শর্মা শিলিগুড়ি পুরনিগমের এক জন কাউন্সিলর। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে, শিক্ষা দফতরে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে এক সরকারি আধিকারিক এর মুখে পানের পিক ফেলে খবরের শিরনামে এসেছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ শাস্তির বদলে তৃণমূলে তাঁর পদউন্নতি হয়েছে। প্রভাব বেড়েছে। মঙ্গল বিকেলে দখলমুক্ত অভিযানে নামে রাজগঞ্জ বিডিও ও জলপাইগুড়ি জেলার ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। রঞ্জন শীল শর্মার রিসোর্টের বুল্ডোজার পৌছতেই, স্থানীয় মহিলা দের এগিয়ে দিয়ে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা হয় বলে জানা গেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার রঞ্জন শীলশর্মার রিসর্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি সাইনবোর্ড। খোদ তৃণমূল কাউন্সিলার রঞ্জন শীলশর্মা বলেছেন, ‘আমি সরকারি জমি দখল করেছি, সে কথা অস্বীকার করছি না। আবার সরকারি কাজের জন্য ছেড়েও দিয়েছি।