
স্পোর্টস ডেস্ক :ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে স্বপ্নের দৌড় অব্যহত আফগানিস্তানের। ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় তুলে নিল আফগানিস্তাম। ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন রশিদ খানরা। পুণেতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় তুলে নিল আফগান বাহিনী। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে কাজটা অর্ধেক করে রেখেছিলেন ফজলহক ফারুকি। ব্যাট হাতে বাকি কাজটা করে দিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হসমতউল্লাগ শাহিদিরা। একসময় পিছিয়ে থাকলেও আফগানিস্তান যে এবার সেমিফাইনালের দৌড়ে ঢুকে পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শ্রীলঙ্কাকে ২৪১ রানে বেধে দিয়ে কাজটা তনই প্রায় সেরে ফেলেছিলেন তারা। ব্যাট হাতে কম রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে খুব একটা বেশী সময় লাগল না আফগান বাহিনীর। ৪৫.২ ওভারের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এবারের িবশ্বকৈাপের মঞ্চে তাদের তৃতীয় জয় তুলে নিল আফগানিস্তান। সেইসঙ্গেই সেমিফাইনালের লক্ষ্যেও যেন নিজেদের অনেকটা এগিয়ে নিল তারা। ব্যাট হাতে এদিন দুর্ধর্ষ পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শেষ মুহূর্তে তাঁর ৭৩ রানের ঝোরো ইনিংসে ভর করেই ফের একটা জয় তুলে মনিলে আফগান বাহিনী।ইংল্যান্ড -পাকিস্তানের পরে শ্রীলঙ্কাকেও হারালো আফগানিস্তান। এদিন ৫ ওভার বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কাকে হারালো আফগানিস্তান। আর ম্যাচের শেষে আফগান অধিনায়ক শাহিদি বলেন, ‘পাকিস্তান ম্যাচের পরই মনে হয়েছিল, আমরা যে কোনও ধরনের টার্গেট তাড়া করতে পারি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বোলিং দুর্দান্ত হয়েছে। আর রান তাড়ায় প্রতি মুহূর্তেই পেশাদার ক্রিকেটারদের মতো পারফর্ম করেছি। ব্যক্তিগত ভাবেও দারুণ খুশি।’ দলের মানিসকতা বদলের ক্ষেত্রে কোচ জোনাথন ট্রটের বড় ভূমিকা রয়েছে, জানালেন শাহিদি। কোচিং স্টাফের প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘কোচেরা সব সময়ই ইতিবাচক হন। বিশ্বকাপের আগে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস ঠিক রাখতে কোচিং স্টাফেরা সবসময় চেষ্টা করেন। পাকিস্তান ম্যাচের আগে ট্রটের মন্তব্যই আমাদের মানিসকতা বদলে দিয়েছিল।’