
শেখ এরশাদঃ ১৪ থেকে ২০ জুলাই রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে বনউৎসব। সেই উপলক্ষ্যে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এদিন ২৫ টি শ্বেত চন্দন ও ২৫ টি রক্ত চন্দনের চারা রোপন করা হল।
দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা। এদিন আলিপুর চিড়িয়াখায় বাঘের এনক্লোজারে রোপন করা হল ৫০টি চন্দন গাছের চারা। ১৪ থেকে ২০ জুলাই পর্য়ন্ত সপ্তাহ ব্যাপি রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে বনউৎসব। সেই উপলক্ষ্যে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এদিন ২৫ টি শ্বেত চন্দন ও ২৫ টি রক্ত চন্দনের চারা রোপন করা হল। কিন্তু এতো গাছ থাকতে হঠাৎ বাঘের এনক্লোজারে চন্দন গাছের চারা রোপন কেন ? বন আধিকারিকদের মতে চন্দন গাছ অক্সিজেন সেচুরেশনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দুষণ কমাতে তাই এই ধরনের গাছ লাগানো হচ্ছে। আর পাশাপাশি এই গাছ অতি দুর্মুল্য বলে পাচারকারিরা মাঝে মঝ্যেই রাতের অন্ধকারে ডাল কেটে নিয়ে পালায়। বাঘের এনক্লোজারে চন্দন গাছ লাগানো হলে তা চুরি যাবার ভয়ও থাকবে না। চোরা কারবারিরা প্রানের মায়া তুচ্ছ করে বাঘের খাঁচায় প্রবেশ করবে না। ফলে সুরক্ষিত থাকবে চন্দন গাছগুলি এমনটাই জানালেন বন সৃজন প্রকল্পের আধিকারিক সৌমিত্র দাশগুপ্ত।
প্রসঙ্গত অক্টোবর মাস থেকেই চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। ডিসেম্বরের মধ্যেই তাই আলিপুর চিড়িয়াখানার মূল প্রবেশদ্বার সহ চিড়িয়াখানার সমস্ত এনক্লোজার গুলির সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল জু অথরিটির গাইডলাইন অনুসারে চিড়িয়াখানায় মোট জমির ৩০ শতাংশ সবুজায়ন থাকার কথা। বর্তমানে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ১৯ একর জমি রয়েছে। যার ২০ শতাংশই সবুজায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী এক বছরে আরো ৫% এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও আলিপুর চিড়িয়াখানার বেশকিছু জীবজন্তু, সরীসৃপের বয়স বেশি হয়ে গিয়েছে তাদের জায়গায় চলতি বছরের মধ্যেই নতুন চার ধরনের বিশেষ প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু আনার পরিকল্পনা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। যা আলিপুর চিড়িয়াখানার আকর্ষণ বাড়াবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।