
তামসী রায় প্রধান : অরুণাচল প্রদেশে সেলা টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ইটানগর থেকে এই সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করেছেন তিনি। সেলা টানেলে যান চলাচল শুরু হলে তা ভারতীয় সেনা কৌশলগত দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে মত সামরিক বিশ্লেষকদের।
বিশ্বের দীর্ঘতম দুই লেন বিশিষ্ট টানেল সেলা। প্রায় ১২ কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গটি সমুদ্রপৃষ্ঠের ১৩,০০০ ফুটের উপরে তৈরি করা হয়েছে এই সেলা টানেল। শনিবার ইটানগর থেকে এই সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুড়ঙ্গ গড়ার এই পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন।
চিন সীমান্ত সংলগ্ন তাওয়াং ও কামেং সেক্টরে যাতায়াতের জন্য যে পাহাড়ি পথ ব্যবহার হত, তা খুবই সংকীর্ণ ছিল। ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় নির্মিত ওই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে যে কোনও মরসুমে চিনের কাছে থাকা তাওয়াংয়ের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পৌঁছতে পারবে ভারতীয় সেনা।
১০০৩ মিটার দীর্ঘ প্রথম এবং ১৫৯৫ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে ৮ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে দৈনিক ৩০০০ গাড়ি এবং ২০০০ পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করতে পারবে এই সুড়ঙ্গ দুটি দিয়ে ।
ট্যাংক ও সাজোয়াঁ যান চলাচল কার্যত ছিল অসম্ভব। ছিল প্রতি বাঁকে বিপদ। ফলে দ্রুত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পৌঁছোতে বেশ সমস্যায় পড়তে হত সেনাবাহিনীকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ওই রাস্তার আরও বেহাল দশা হত।
সেলা টানেলে যান চলাচল শুরু হলে ভারতীয় সেনা কৌশলগত ভাবে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে দাবি সামরিক বিশ্লেষকদের। এই টানেল দিয়ে সহজেই সাজোয়াঁ গাড়ি, অস্ত্রশস্ত্র খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে চিন সীমান্তের সেনা ছাউনিতে।