
আল সাদি,বাংলাদেশ: এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দানবাক্স থেকে পাওয়া গেছে রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় মসজিদের নিচতলায় থাকা সিন্দুকগুলো খোলা হয়। মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক মানুষ টাকা গণনায় অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক জানান, শনিবার সকাল ৮টায় মসজিদের সামনে ও বামপাশে রাখা বড় বড় ৮টি লোহার দানসিন্দুক খোলা হয়।
এর আগে, চলতি বছরের ৬ মে মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা; ৪ জানুয়ারি দানবাক্সগুলো খুলে ২০ বস্তায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া যায়।
জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চরে। ওই পাগল সাধকের মৃত্যুর পর এটি পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী। তখন থেকে এ মসজিদে লোকসমাগম বাড়তে থাকে।
এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, সোনা ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বিদেশি মুদ্রাও দান করেন।