
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্রিগেডের জন গর্জন সভা থেকে নাম ঘোষণা হবার পর থেকেই জোড় কদমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন মথুরাপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার। এর মাঝে বাপি হালদারের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের টাকা নয়চয়ের অভিযোগ সামনে এল। একমাস পরেও অভিযোগ না নেওয়ায় মথুরাপুর থানার ওসি কে শো কজ।রাজ্যের বক্তব্য, অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বিডিও দেখছেন ব্যাপার টা। উত্তর শুনে বিরক্ত হন বিচারপতি। তিনি জানতে চান, হঠাৎ অনুসন্ধান কেন? আবার বিডিও এখানে আসছেন কোথা থেকে? কোর্ট কেন অর্ডার দেবে? যেখানে প্রাথমিক ভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আবার অনুসন্ধান কেন? আপনারা ভূপতি নগরে ক্ষেত্রে ধৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান না করেই FIR করে দিলেন। আর এখানে অভিযোগে যা রয়েছে, তাতে অভিযোগ জানানোর এক মাস পরেও FIR করার মতো জায়গায় পৌঁছলো না, পুলিশ! তথ্য নথি নষ্ট করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এটা চেষ্টা নয়! আপনার যদি মনে হয় অভিযোগে অপরাধের কোনো ইঙ্গিত নেই, তাহলে আপনি খোলা এজলাসে অভিযোগ পড়ুন।
ওসি র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আগের প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। কখনো একবার কাজ করে তিনবার টাকা তোলা হয়েছে, কোথাও একবার কাজ করে দুবার টাকা তোলা হয়েছে। বর্তমান বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৭ মার্চ। কিন্তু এতদিনেও FIR করেনি পুলিশ। ওসি কে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে কেনো এক মাসের উপরে FIR না করে অভিযোগ ফেলে রেখেছেন। এসিপি সুন্দরবন পুলিশ জেলাকে নির্দেশ, কোনো ভাবে অভিযোগ কারীদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার নিশ্চিত করতে হবে।