
বিপ্লব দাশ : ১১ বছর পূর্ণ করল মোদী সরকার। এই উপলক্ষে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি তার সার্বিক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছে। প্রথমেই বলা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে তাদের অর্থনৈতিক সংস্কার, পরিকাঠামো সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল পাবলিক পণ্যের ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা। ভারত, আজ ৪.২ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপিতে, জাপানকে ছাড়িয়ে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম শক্তি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জার্মানিকে ছাড়িয়ে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর রয়েছে পরিকাঠামো সম্প্রসারণ। যা কিনা লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবী করা হচ্ছে।
উন্নতির বিস্তৃত খতিয়ান দেওয়া হয়েছে রেল, ভূ-তল এবং আকাশ- তিন ক্ষেত্রেই। নাড্ডা তুলে ধরেছেন, বিজেপির আমলে নগর বৃদ্ধির খতিয়ান। বলা হয়েছে, স্মার্ট সিটিস মিশনের মাধ্যমে নগর রূপান্তর চলছে দ্রুত গতিতে। তিনি জানিয়েছেন, অপ্রচলিত শক্তির ক্ষেত্রে দেশের উন্নতির কথা। রয়েছে ডিজিটাল পরিকাকাঠামো এবং প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বিজেপির সাফল্য। বিজেপির দাবি, মোদী সরকারের ১১ বছরে কৌশলগত বিনিয়োগ, প্রশাসনিক সংস্কার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। ভবিষ্যতে, নীতি নির্ধারণে তৎপরতা, স্থায়িত্বের উপর মনোযোগ এবং উন্নত উৎপাদন ও দক্ষতার মাধ্যমে বিশ্ব জুড়ে সরবরাহ নেট ওয়ার্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নেবে ভারত। অর্থনৈতিক শক্তি, ডিজিটাল অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে ভারতের উন্নয়ন যাত্রা বিশ্বের নজর কাড়বে।
কিন্তু কেন হঠাৎ কেন্দ্রের সাফল্যকে তুলে ধরার প্রয়োজন পড়লো বিজেপির ! আসল কথা, ২৬শের ভোট। তার আগে রয়েছে বিহারও। এর মধ্যে বাংলায় দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন মোদী-শাহ্। দাবি করছেন, ২৬শে তাঁরাই পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করবেন। বোঝাই যাচ্ছে, বিজেপির কাছে পশ্চিমবঙ্গ একটা প্রেস্টিজ ফাইট। অমিত শাহ্ যখন তামিলনাডুতে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ দখলের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন, ঠিক একই সময় দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা বিজেপির ১১ বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরছেন। ফলে সেই খতিয়ান আর ভোট যেন একটা জায়গায় গিয়ে মিলে যাচ্ছে। তাহলে কি বিজেপি এবার মনে করছে, শুধুমাত্র ব্যক্তি আক্রমণ কিংবা কুৎসা করে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয় ? বদলাচ্ছে কি বিজেপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি ? বিজেপির এই সমীকরণটাই এবার দেখার বিষয় !