
নিজস্ব সাংবাদদাতা : বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রনে দিলীপ ঘোষের স্বস্ত্রিক দীঘা যাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চলছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা । বুধাবার দীঘায় জাগান্নাথ মান্দিরের উদ্বোধন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই উপস্থিত হন দিলীপ ঘোষ , স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার ফুল বদল করবেন দিলীপ? এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে বিজেপির বিভিন্ন মহল , দিলীপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সুকান্ত মজুমদার থেকে সৌমিত্র খাঁ এর মতো বিজেপি নেতারাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২১ এর নির্বাচন থেকেই তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রর ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন দিলীপ ঘোষ। শুরুতে রাজ্য সাভাপতির রদবদল আর আখন কি তবে দল বদল ?
যদিও এই প্রসঙ্গে দিঘার সমুদ্র সৈকতে প্রাত ভ্রমনে গিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ , তিনি বর্তমানে দল ছাড়ছেন না। তবে কি আগামির ইঙ্গিত ? উটছে প্রশ্ন ।
দলিও স্তরে বারবারই গুঞ্জন উঠেছে শুভেন্দু-দিলীপের অন্তর কলহের , এইবার নাম না করে শুভেন্দু কে কটাক্ষ দিলীপের। তিনি বলেন, “ দিলীপ ঘোষ পার্টি থেকে যা নিয়েছে তার অনেক বেশি গুণ রিটার্ন করেছে। দিলীপ ঘোষ কোনদিন পার্টি থেকে পদ চায়নি, টিকিট চায়নি। বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ খালি হাতে এসেছিল খালি হাতে যাবে” । তবে কি দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন দুঁদে নেতা ?
কার নাম না করেই দিলীপ বলেন , কিছু লোকের পেটে ব্যথা হয়, বিজনেস ধান্দা খারাপ হয়, তারা সমালোচনা করছে।
দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে আসা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি পার্টির নীতির বাহিরে করিনি, আপনারা শুনেছেন আমি বলেছি মন্দির বয়কট করেছি, নাকি কেউ করতে পারে। রাম মন্দির উদ্বোধনে যেসব ভিআইপির এসছিলেন, তারা সবাই বিজেপি ছিলেন না।
ধন্যবাদ সরকারকে আমাকে ডেকেছিল তাই আসলাম। না হলে পরে আসতাম। জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যের কথা হয়েছে, একে অপরের শারীরিক খোঁজ নিলাম। ওনার সঙ্গে কোনো গোপন বৈঠক করিনি, আমার লোকেরা ও উনার অফিসাররা সঙ্গে ছিল। বহু লোক ক্লোজডোর মিটিং করে, চিরকুট পাঠায়, গোপনে ফোন করে, দিলীপ ঘোষ কে এসব করতে হয় না। দিলীপ ঘোষ কে নিয়ে সাধারণ মানুষের উচ্ছাস আছে, তারা জানে দিলীপ ঘোষ কি! আমি ভিক্ষা করে খাই লোকের বাড়ি গিয়ে খাই।
সংবাদ মাধ্যম গুলির ভুল প্রছারিত ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে জগন্নাথ মন্দিরে যখন দিলীপ ঘোষ ঢুকছেন তখন তৃণমূল কর্মীর সমর্থকরা জয় বাংলা তৃণমূল জিন্দাবাদ দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ শ্লোগান দিচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু হিন্দু করে ভাগাভাগি করছে আর দিলীপ ঘোষ সকলকে নিয়ে চলছে। আমরা তৃণমূল তৃণমূল কর্মীরা দিলীপ ঘোষ কি আমাদের দলের স্বাগত জানাচ্ছি। তাদের এই মন্তব্য ঘিরেও বারছে রাজনৈতিক চাপানুতর।
জগন্নাথ উদ্বোধন হলেও দিঘাতে রাজনৈতিক তরজা এখনো চলছে। এখন দ্রষ্টব্য ২৬ এর নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ কোন ফুলে তুষ্ট হবেন।