
সুমন গঙ্গোপাধ্যায়: গরজালেও বর্ষাল না বঙ্গ বিজেপি। শনিবার প্রকাশিত বিজেপির প্রার্থী তালিকায় বঙ্গ বিজেপির প্রার্থীদের নাম দেখে এক কথায় এটাই বলা যায়। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই বিজেপির প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও, বাংলার প্রার্থী তালিকা যে রীতিমত সাদা মাটা ,তা মানছেন রাজনৈতিক মহল। এক কথায় নতুন কোনো চমক যেমন নেই, তেমনই একাধিক ‘নন পারফরমার’ বা খোদ দলে যাদের ঘিরে ক্ষোভ তাদের উপরেই ভরসা করতে হয়েছে। অথচ একাধিক নতুন প্রার্থীর নাম উঠে এসেছিল একাধিক সুত্র থেকে। বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বজিৎ দাসের বক্তব্য এই প্রার্থী তালিকা দেখে বোঝা গেল অন্তত বাংলায় বিজেপি আদৌ সাহসী বা স্মার্ট হতে পারল না।
একটু খতিয়ে দেখুন এই ২০ টি আসনে প্রায় সবকটিতেই পুরোনো হেরে যাওয়া প্রার্থীদেরই টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এমনকী যে যে আসনে যারা যারা জয়ী হয়েছেন তাদেরকেই প্রার্থী করা হয়েছে, এক কথায় খুব একটা রিস্ক নিতে চায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ” উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাংলা থেকে ১৮ আসনে জয়ী হয় বিজেপি। পরে তার মধ্যে আসানসোল থেকে বাবুল সুপ্রিয় ও ব্যারাকপুর থেকে অর্জুন সিং দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। তবে এবার গত লোকসভার ১৮ আসন ধরে রাখা শুধু নয়, আরও বেশি আসন বাংলা থেকে ঘরে তোলাই
এখন টার্গেট বিজেপির। একদিকে অমিত শাহ, তিনি চেয়েছেন ৩৮ টি আসন, অপরদিকে নরেন্দ্র মোদীর ৪২ এ ৪২ আসন। রাজনৈতিক মহলের মতে টার্গেট দিলেও সেই মতো যোদ্ধা ময়দানে নামাতে পারল না পদ্ম শিবির। আসানসোলে পবন সিং কে প্রার্থী করা হলেও, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান খোদ প্রার্থী, তার ওপর ইতিমধ্যেই হুগলি, বাঁকুড়া, রানাঘাট সহ একাধিক জায়গায় প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। কয়েকটা লোকসভা বাদ দিলে প্রায় সব লোকসভাতেই একই অবস্থা। বিশ্বজিৎ দাসের বক্তব্য, ” আসলে বিজেপির কাছে তৃণমূলকে ডিফেন্ড করার মতো ইস্যু নেই। একদিকে তৃণমূলের সামাজিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্প অপরদিকে ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ক্ষোভ, তাই পরীক্ষা করে।
নতুন প্রার্থী দেওয়ার মতো সাহস দেখাতে পারছে না বিজেপি নেতৃত্ব।” একটু দেখলে দেখা যাবে, জয়ী আসন গুলো ছাড়া বাকি যে আসন গুলিতে বিজেপি পরাজিত হয়, সেই আসনেও খুব একটা প্রার্থী বদল করে নি পদ্ম শিবির।