
অমিত কুমার দাস, কলকাতা : রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট। ‘সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে পুরসভা, সর্বত্র চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী। গোটা দেশে এমনটা কোথাও হয়না’ – মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। ‘সব সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য এভাবে নিয়োগ বন্ধ করে রাখতে পারে না’, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
নিম্ন আদালতের স্থায়ী কর্মীর পরিবর্তে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ কখনও নিয়ম হতে পারে না। চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হল ব্যতিক্রম।
গোটা কর্মশক্তির বেশিরভাগটাই চুক্তিভিত্তিক !, বিস্ময়প্রকাশ প্রধান বিচারপতির.
জেলা আদালত থেকে শুরু করে বাকি জায়গায় কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে অত্যন্ত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বিচারকরা।
সবাই চুক্তিভিত্তিক হলে ঠিক বা ভুল কাজের দায় কে নেবে ? – প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
২৫ বছর ধরে কাজ করছেন অথচ অবসরের সময়কালীন বেতন ২৬ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা ? – প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির.
সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করছেন, কিন্তু বেতন ১৪ হাজার টাকা ? কিভাবে সম্ভব ? – প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির.
হাইকোর্টে দৈনিক চুক্তিতে কাজ করা PWD র কিছু কর্মী আমার কাছে এসেছিলেন নূন্যতম মজুরি চেয়ে চিঠি দিতে। এটা তাদের অধিকার। কিন্তু চিঠির কালি শুকোবার আগেই তাদের কাজ থেকে বসিয়ে দিয়েছে ঠিকাদার। কেন হবে এরকম ? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির.
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চুক্তির ভিত্তিতে আদালতের কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য সরকার। এরপর এর এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হলে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় গোটা নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। পাল্টা সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।মঙ্গলবার সেই মামলায় শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই আদালতের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।