
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার জন্য কখনই মা হারা মেয়েকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, মন্তব্য বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। জানা গেছে, ১৫ বছর আগে পরিবার ত্যাগ করেছিলেন স্বামী। স্ত্রীর মৃত্যুর পর একমাত্র মেয়ের সম্পত্তির অধিকারের ভাগ বসাতে আসরে বাবা। শেষ রক্ষা হলো না। হাইকোর্ট রায় দিল মা হারা মেয়ের পক্ষেই।
কেন্দ্রীয় সরকারের জল সম্পদ বিষয়ক দফতরের কর্মরত ছিলেন বেহালার পন্নশ্রীর বাসিন্দা বর্ণালী দে। ২০০৯ সালে বর্ণালীদের স্বামী রাজু দে স্ত্রী এবং তাদের একমাত্র কন্যা অনুষ্কাকে ছেড়ে চলে যান। ছোট্ট অনুষ্কা কে নিয়ে বর্ণালী দে একাই থাকতেন তাদের পর্ণশ্রী বাড়িতে। কর্মরত অবস্থায় বর্ণালী দে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ২১শে মে ২০২৩ সালে বর্ণালী দে মারা যান। তখন অনুষ্কার বয়স ছিল ১৯ বছর। মায়ের হঠাৎ মৃত্যুতে অথৈ জলে পড়ে যান কলেজ ছাত্রী অনুষ্কা। বর্ণালী দে যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের জল সম্পদ দপ্তরে কর্মরত ছিলেন তাই তার সমস্ত মৃত্যু কালীন সরকারী ভাতা ও প্রাপ্য ও মাসিক পেনশনের জন্য আবেদন জানায় অনুষ্কা। কারণ তার মা তার নামেই একশ শতাংশ নমিনি করে গিয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের জল সম্পদ বিষয়ক দফতরের থেকে অনুষ্কাকে বলা হয় বর্ণালী দেবীর স্বামী অর্থাৎ অনুষ্কার বাবা স্ত্রীর মৃত্যু কালীন সরকারী সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে। কারণ সেও একজন অংশীদার। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন যে তার একমাত্র কন্যাকে যাতে তার মায়ের কোন কিছুই না দেওয়া হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বিস্ময় প্রকাশ করে জানান কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি দফতর যেখানে অফিস ফাইলে ১০০ শতাংশ নমিনির পরিবর্তনের রেকর্ড রয়েছে অথচ অফিস কর্তৃপক্ষ তা তার সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করল না যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ তার সংশোধন করে মামলাকারী কে মৃত মায়ের সমস্ত রকম প্রাপ্য ও সুযোগ-সুবিধা আগামী দু মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ যদি সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি।