
অমিত কুমার দাস,ওঙ্কার বাংলাঃ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে লাগবে না আদালতের অনুমতি। বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশে অস্বস্তিতে শুভেন্দু।
অভিযোগ, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি ছড়ানো ও রাজনৈতিক হিংসায় মদত দিয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
মামলাকারীর অভিযোগ, নয়াগ্রাম, বড়জোড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি দলীয় সভায় শুভেন্দু বিজেপি কর্মীদের কখনও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে জলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, বিভিন্ন সভা থেকে শুভেন্দু নিদান দিয়েছেন, রাজ্যে এমন অশান্তি করুন যাতে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করা যায়। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে হিংসার পিছনে শুভেন্দু প্ররোচনা দিয়েছেন বলে মামলাকারী অভিযোগ করেন হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার, আদালতে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারের একাধিক রাজনৈতিক সভায় শুভেন্দুর মন্তব্য এবং কয়েকটি সাংবাদিক বৈঠকের ভিডিও ফুটেজ, নথি তুলে ধরেন মামলাকারী।
এদিন বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে লাগবে না আদালতের অনুমতি। তবে পুলিশকে সচেতনভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগের সত্যতা থাকলে এফআইআর করতে কোনও সমস্যা নেই। ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশ রিপোর্ট তৈরী করে ডিজিকে পাঠাবে। সেই রিপোর্ট দেখে আদালতে জমা দিতে হবে ডিজিকে। যদি আদালত অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হলে হাই কোর্টের অনুমতি নিতে হবে, এই মর্মে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।