
ওঙ্কার ডেস্ক: বিরোধীরা বিশেষ করে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী দেশে জাত গণনার দাবি একাধিক বার তুলেছেন। গত লোকসভা ভোটের আগেও নিজেদের ইস্তাহারে জাতগণনার প্রতিশ্রুতি রেখেছিল হাত শিবির। কিন্তু কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করতে পারেনি ইন্ডিয়া জোট। নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বারের মত সরকারে এসে বিরোধীদের জাতগণনার দাবি অবশেষে মেনে নিলেন। বুধবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আগামী জনগণনার সঙ্গেই দেশে জাতগণনা হবে। তবে কবে হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
বুধবার মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জাত গণনার বিষয়ে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আসন্ন জনগণনাতে জাত গণনা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রশ্ন উঠছে, আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, চলতি বছরে রয়েছে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আর আগামী বছর রয়েছে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। জাত পাতের অঙ্কে এই দুই রাজ্যে বিপুল সংখ্যক ভোট নিজেদের দিকে টানতে পারে গেরুয়া শিবির। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিহারে মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর, ২৭.১ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণীর, ১৯.৭ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১.৭ শতাংশ তফসিলি উপজাতির। সূত্রের খবর, ২০২৬ সালে হতে পারে জনগণনা। সেই সময় জাত গণনা হলে বিরোধীদের দাবি বাস্তবায়ন হবে।