
বিক্রমাদিত্য বিশ্বাস,চোপড়া : কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। আর সেই আলোর উৎসবের আগে প্রদীপ তৈরির কাজে ব্যস্ত চোপড়ার মৃৎশিল্পীরা। কালাগছ এলাকা থেকে এবারও কয়েক লক্ষ মাটির প্রদীপ কানপুর, লখনৌ, মহারাষ্ট্র সহ ভিনরাজ্যে পাঠানো হয়েছে। মৃৎশিল্পীদের কথায়, রকমারি আলোর পণ্যে বাজার ছেয়ে যাওয়ায় তাঁরা সংকটে পড়েছেন। এলাকায় মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা কমতে শুরু করেছে। বছরের অন্য সময় সরা, ঘট, হাঁড়ি, কলসি বানালেও প্রতিবার দীপাবলির আগে এলাকার মৃৎশিল্পীদের একাংশ ভিনরাজ্যে মাটির প্রদীপ পাঠান। এর ওপরেই অনেকের সংসার নির্ভর করে থাকে। তাই দীপাবলি এলেই মাটির প্রদীপ তৈরির ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কালাগছ এলাকার মৃৎশিল্পী মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন, সারা বছর জুড়ে মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করি, দূর্গা পূজার আগেই তৈরি করা প্রদীপ ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । এখন যেগুলি তৈরি করা হচ্ছে সেগুলো গ্রামীণ এলাকাতেই বিক্রি করা হবে। মৃৎশিল্পীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ লক্ষ ১০ হাজার প্রদীপ ভিনরাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । ১০০০ প্রদীপের দাম পাওয়া গেছে ৪০০ টাকা । পরবর্তীতে সেই দাম নেমে ৩৮০ টাকা হয়েছে । কালীপুজোর কয়েকদিন আগেই বাড়িতে এসে ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে ভিনরাজ্যে প্রদীপ নিয়ে যান। প্রদীপ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির পাশাপাশি মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব বেশি মুনাফা হচ্ছে না, তবুও পুরোনো পেশা আগলে রেখেছেন অনেকে। কালাগছের পাশাপাশি দাসপাড়া, কাঁচাকালী এলাকাতেও বেশ কয়েকজন শিল্পী প্রদীপ তৈরি করেন। তবে কালাগছ এলাকাতেই বেশি কাজ হয়। তবে আগের তুলনায় আলোর উৎসবে প্রদীপের চাহিদা কমেছে।