
নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা: “১৯৫৬”-এই সংখ্যাটিই বৃহস্পতিবার বিগ ফ্যাক্টর হয়ে উঠলো রাজ্য বিধানসভায়। ২০২১ এর ২রা মে- নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে সেদিন জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে আবার “কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী” বলে মমতাকে সেদিন কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এরপর মাঝে পেরিয়ে গেছে দু বছরের বেশি সময়। তবে ২০২৩ এর ২৭ শে জুলাই রাজ্য বিধানসভা তপ্ত হলো সেই নন্দীগ্রাম ইস্যুতে। এদিন বিধানসভায় নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,” নন্দীগ্রামে দু ঘন্টা লাইট বন্ধ করে কি হয়েছিল ভুলে গেলেন?” তবে এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধীদলনেতাও।
এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক আগেই বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাসকদলকে বিঁধে এদিন নিজের বক্তব্য পেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে আনেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন বিজেপির বিধায়করা। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে’শেম শেম মুখ্যমন্ত্রী ‘ ধ্বনি তুলতেও দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এদিন বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। তবে পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায়-“নন্দীগ্রামে জেতার পরে আমি বিধানসভায় নন্দীগ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলাম। বিচারাধীন বিষয় বলে আমায় বলতে দেওয়া হয়নি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী আজ বিধানসভায় এই বিষয়েই কথা বললেন।”
এছাড়াও বৃহস্পতিবার আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে “কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী” বলে খোঁটা দেন বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে সেসময় নন্দীগ্রামে ভোট লুঠের অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দু বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর সেই নন্দীগ্রাম ইস্যুতেই আবারো তপ্ত হলো রাজ্য বিধানসভা।