
নিজস্ব সংবাদদাতা , পশ্চিম মেদিনীপুর : করোনায় আক্রান্ত খড়গপুরর আইআইটি-র গবেষক, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর : বছর চারেক আগে করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্ব যখন আক্রান্ত, তখন ভারতবর্ষের প্রতিটি নাগরিক এই মারণব্যাধি থেকে বাঁচতে নিজেদের সচেতন করে তুলেছিল। কেটে গিয়েছে কয়েকটি বছর, জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এবার আবারও করোনার প্রকোপ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরের আইআইটি ক্যাম্পাসে এক গবেষক ছাত্রের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর কার্যত আতঙ্কিত ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীরা।
স্বাস্থ্য দপ্তর এবং আইআইটি সূত্রে জানা গেছে, ২৬ বছর বয়সি ওই ছাত্রের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে ছিল জ্বর, সর্দি, কাশি এবং গন্ধ না পাওয়া। এরপর ওই ছাত্রের কোভিড পরীক্ষা করা হয়, যার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ছাত্রটিকে দ্রুত আইআইটি খড়গপুরের বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আইআইটি খড়গপুরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্র হস্টেলের একটি রুমে একাই থাকতেন, ফলে তার সংস্পর্শে আসা অন্য ছাত্রদের জন্য ঝুঁকির কোনো কারণ নেই। তবে, তার সংস্পর্শে আসা কোনো ছাত্রের যদি কোভিডের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাদেরও পরীক্ষা করা হবে।
জানা গেছে, ওই ছাত্র সম্প্রতি গবেষণার কাজে বীরভূম জেলায় গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ফিরে আসার পরেই তিনি কোভিডের উপসর্গ অনুভব করেন। তবে, স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে আরঅ জানা গেছে, ওই ছাত্র দুটি ডোজই করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, “আমরা আইআইটি খড়গপুরের ওই গবেষকের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পেয়েছি। উপসর্গ আগের মতোই — জ্বর, সর্দি, কাশি, গন্ধ না পাওয়া। মৃদু উপসর্গ থাকলে এবং ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ভয়ের কিছু নেই”।
এদিকে, সাধারণ মানুষকে আবারও মাস্ক পরার এবং একে অপর থেকে যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সকলকেই সামাজিক বিধি মেনে চলতে হবে এবং চিন্তার কোনো কারণ নেই, তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিকারী এবং লকডাউন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এই নিয়ে এক জরুরি বৈঠকও করেছেন।