
সুমন্ত দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানের ওপর ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশের। ঘটনার তীব্র নিন্দা করলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে! এটাই কি তবে বিকশিত ভারতের নমুনা?
২০০ টি কৃষক সংগঠনের কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড দিল্লি সীমান্তে। হাজার হাজার কৃষকদের অভিযানের ওপর ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশের। কৃষকদের আটকাতে শুরু হয়েছে ধস্তাধস্তিও। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, ‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে! এটাই কি তবে বিকশিত ভারতের নমুনা?
মঙ্গলবার সকালে দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করে কৃষকদের বিরাট মিছিল। তার পরেই পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় এলাকায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। ড্রোন থেকেও ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। যা জানা গিয়েছে, অন্তত দুডজন শেল ছোড়া হয়েছে। এবং তা করা হয়েছে কৃষকদেক তরফে কোনও উসকানি ছাড়াই। এমনটাই দাবি করেছে কৃষক সংগঠনের গুলি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের কৃষক আন্দোলনের জেরে পিছু হটেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কৃষি বিল প্রত্যাহার করে ছিল বিজেপি সরকার। এবার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষক পেনশন, শস্যবিমা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে, মঙ্গলবার দিল্লি যাত্রার ডাক দেয় পঞ্জাব ও হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। ২০০টির বেশি কৃষক সংগঠন আন্দোলনে শামিল হয়েছে। কৃষক বিক্ষোভ রুখতে মরিয়া হরিয়ানা ও দিল্লি প্রশাসন। কৃষকদের কর্মসূচির আগে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, এক মাস অর্থাৎ আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে রাজধানীতে। অন্যদিকে সীমান্তে কংক্রিটের দেওয়াল তৈরি হয়েছে। বসানো হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া এবং পেরেকের পাটাতন।