
ওঙ্কার ডেস্ক: বাংলা ভাষায় কথা বলেন। সেই সন্দেহে বাংলাভাষীদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে আটক করেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের পুলিশ। আটক হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যাটা প্রায় ৬৫০০ জন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। এই ব্যাপক ধরপাকড়ের পর তাদের ঘরবাড়িও ভাঙা শুরু করল স্থানীয় প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, চান্দোলা লেক এলাকায় এই ব্যাপক ভাঙন অভিযান শুরু করে পুলিশ ও আহমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। পুলিশ কমিশনার জি এস মালিক জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ-ক্রাইম শরদ সিংহলের নেতৃত্বে প্রায় ২০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সিংহল বলেন, আহমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এদিন ভোরে ৫০টি দল নিয়ে অভিযান শুরু করে। প্রতিটি দলে একটি করে জেসিবি মেশিন রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘চান্দোলা লেকে সর্বশেষ ভাঙন অভিযান চালানো হয়েছিল ২০০৯ সালে। সম্প্রতি, এএমসি কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে সরকারি জমি আবার দখল করা হয়েছে এবং লেকের চারপাশে ঝুপড়ি তৈরি করা হয়েছে। অবৈধ বাংলাদেশিরা এই লেকের আশেপাশের সিয়াসতনগর এবং বাঙালি ভাসের মতো এলাকায় বাস করত।’
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে সারা দেশে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই আবহে অভিযোগ উঠেছে, বাংলা ভাষায় যারা কথা বলেন আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, তাদেরকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।