
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম ডার্বি ড্র।যুবভারতীর ফলাফল ২-২। এদিন হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে দুইদলই ভালো ফুটবল খেলে ফলে ফলাফল দেখে খুশি হওয়ারই কথা দুই দলের সমর্থকদের কাছে। এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল পায় ইস্টবেঙ্গল।৩ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে আক্রমণের ওঠে ইস্টবেঙ্গল। মহেশ বল পেয়ে নিশুকে পাস বাড়ান। নিশু আবার বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা অজয় ছেত্রীকে ক্রস বাড়ান। অজয় গোল করে যান। ১৪ মিনিটে শেষ পর্যন্ত হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে সেন্টার-ব্যাক আনোয়ার আলি মাঠ ছাড়েন তাঁর জায়গায় নামেন আমনদীপ।তবে ১৭ মিনিটে মোহনবাগান ম্যাচে সমতা ফেরায়। ডান দিকের ফ্ল্যাঙ্ক দিয়ে বারবার আক্রমণে ওঠে।আর সেখান দিয়ে আক্রমণে উঠেই ব্রেন্ডন হ্যামিল ক্রস বাড়ান সাদিকুকে। ভলিতে গোল করে সমতা ফেরান সাদিকু। উচ্ছ্বাসে ভাসল গোটা গ্যালারি ফাটলো বাজি।গোল হজম করতেই স্ট্র্যাটেজি বদলান লাল হলুদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। ক্রেসপোকে তুলে নামান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর ম্যাচ চলতে থাকে।৪৪ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে নিশুর ক্রস ধরে ইস্টবেঙ্গল প্রায় স্কোর করে ফেলছিলেন নন্দকুমার।তবে বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ সুন্দর সেভ করেন।প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে। সেকেন্ড হাফের ৫৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল সমতা ফেরায়।ক্লেটন সিলভা বাঁ-দিক থেকে ক্রস বাড়াব নন্দ কুমারকে। সায়ন ক্রস মিস করলেও, দীপক টাংরি বক্সের মধ্যে মহেশকে ধাক্কা দিলে রেফারি তাঁকে হলুদকার্ড দেখান। তার মানে টাংরিকে পরের ম্যাচে পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি নওরেম মহেশকে অযথা ফাউল করে, তাঁর ঘাড়ের উপর উঠে পড়েছিলেন দীপক টাংরি। পেনাল্টি দেওয়া হয় ইস্টবেঙ্গলকে। আর পেনাল্টি থেকে গোল করে নেন ক্লেটন সিলভা।এরপর আর্মান্দো সাদিকু হলুদ কার্ড দেখেন। যা নিয়ে মাঠে হতাশা প্রকাশ করেন বাগান কোচ আন্টেনিও লোপেজ হাবাস।৬২ মিনিটে সায়নের সঙ্গে পেত্রাতোসের প্রথমে ঝামেলা শুরু হয়। সেখান থেকে সেই ঝামেলা বড় আকার নেয়। দুই দলের প্লেয়াররাই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। সায়নকে তুলে বিষ্ণুকে নামান লাল হলুদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত।পেত্রাতোস ফ্রি-কিক নিলে ইস্টবেঙ্গল সেটা ক্লিয়ার করে নেয়।৬৬ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান নওরেম। তার জায়গায় নামেন এডউইন।৭০ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন হয় মোহনবাগানে। দীপক টাংরি এবং অনিরুদ্ধ থাপাকে তুলে সুমিত রাঠি এবং জেসন কামিন্সকে নামান হাবাস । ইস্টবেঙ্গলের অজয় ছেত্রীর জায়গায় নামেন ভিপি সুহের।৮৭ মিনিটে মোহনবাগানের ত্রাতারূপে উঠে এলো সেই দিমিত্রি পেত্রত্রাস।সাহালের ক্রস, লালচুননুঙ্গার ডিফ্লেকশনে বল পান পেত্রাতোস। জোরালো শটে গোল করে যান। অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় ৭ মিনিটে র তবে গোল আসেনি আর।এই ড্রয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে ৭ নম্বরে উঠে এলো ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান রইল ৫ নম্বরেই। তবে এদিন মাঠ ভরলো না।