
বিপ্লব দাশ : পর্ষদের আর্জিতে দেশের শীর্ষ আদালত সাড়া দিলেও, চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে কাঁটা যাচ্ছে না। ফলে অযোগ্য নন এমন শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন, সুপ্রিম কোর্টর এমন রায়েও যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁরা চাইছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকুক, মাস গেলে বেতন মিলুক- এমনই এক স্বাভাবিক শিক্ষকতার জীবন। যাতে ষাট বছর বয়স পর্যন্ত সসম্মানে নিশ্চিন্ত ভাবে চাকরি করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে এমনই অভিমত উঠে আসছে আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্যে।
ফলে একটা দোদুল্যমানতা কাঁটার মতো বিঁধে তো থাকছেই। ফলে নিজেরাও ধন্ধে পড়েছেন। এরপর আন্দোলনের অভিমুখ কী হবে তা নিয়েও বহু মত দেখা দিচ্ছে। কেননা, শীর্ষ আদালতের এই রায়কে সাময়িক স্বস্তি হিসাবে দেখছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাই আন্দোলন এর পর কোন দিকে যাবে, মতামত ‘সর্বসম্মত’ হবে কি না, তা নিয়েও যে সংশয় দেখা দিয়েছে তাঁদের মধ্যে তা বোঝা যাচ্ছে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে অনেকটাই স্বস্তি পেল রাজ্যসরকার। এসএসসি কাণ্ড এবং তার পরবর্তী ঘটনাক্রমে শাসক দলের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম দেখা যাচ্ছিল। একদিকে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারা শিক্ষকের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, তাদের ধৈর্যহারা মানসিকতা যাতে আইনশৃঙ্খলাও বিঘ্নিত হচ্ছিল কোথাও কোথাও অথচ মানবিকতার দিক থেকে কঠিন হতে পারছিল না। কার্যত চক্রব্যুহের মধ্যে প্রবেশ করেছিল রাজ্য প্রশাসন। কারণ, এইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ২৬-এর কুরুক্ষেত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় মুখ করে বলেছিলেন, একজনেরও চাকরি যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে তাঁরও মুখরক্ষা হল অনেকটাই। বাকিটা তো সময়ের হাতে। যেটা প্রথম থেকে চাইছিলেন মমতা।