
এন্টালি লুটকাণ্ডে আরও এক বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত নজরুল হোসেন ওরফে লাল্টুর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সোমবার উদ্ধার হয়েছে আরও ৩২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নজরুল স্বীকার করে যে, লুটের টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে তার আত্মীয়ের বাড়িতে। তারই ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার ওই বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার করে তদন্তকারী দল।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে কলকাতার এন্টালি থানা এলাকার এসএন ব্যানার্জি রোডের কাছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের একটি সংস্থার দফতর থেকে ২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ট্যাক্সিতে করে ব্যাঙ্কে যাওয়ার পথে লুট হয় পুরো টাকা। দাবি করা হয়, সংস্থার দুই কর্মী ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন, সেই সময়ই ঘটনাটি ঘটে।
তদন্তে নেমে পুলিশ এই ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ৯ জন অভিযুক্ত, যার মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের এক কনস্টেবল মিন্টু সরকারও। এ ঘটনায় এক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে, যার ভূমিকাও সন্দেহের তালিকায় রয়েছে।তদন্তকারীদের দাবি, এখন পর্যন্ত লুট হওয়া টাকার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকিটাও উদ্ধারের চেষ্টায় চলছে তল্লাশি। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, “ঘটনার পুরো চক্রকে ধরার চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে অভিযুক্তদের সংযোগ স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।”
এখন নজর রয়েছে, বাকি টাকা কোথায় এবং এই চক্রে আর কে বা কারা জড়িত—সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার