
শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ঃ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য হঠাতই বিশ্ব জুড়ে বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম। নিজে থেকেই লগ আউট হয়ে যেতে থাকে ফেসবুক। ভারত, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইউরোপ থেকে আসতে থাকে কোটি কোটি মানুষের অভিষোগ। আর তাতেই শোরগোল পড়ে যায় তামাম বিশ্বে। গুজব ছড়ায় তবে কি কোনও হ্যাকারের দল সিদ কেটেছে মার্ক জুখারবার্গের সাধের কোম্পানিতে। যদিও পরে জানা যায় কোনও সাইবার অ্যাটাক নয় এটা নেহাতই টেকনিক্যাল ফল্ট। ঘণ্টা দুয়েক পর ভারতীয় সময় সাড়ে ১০টা নাগাদ কিছুটা সচল হয় পরিষেবা। আর তারপরই সামাজিক মাধ্যমে সরব হন নেট নাগরিকরা। ফেসবুকের মালিক মার্ক জুখারবার্গের ভোজসভার ছবি ট্যাগ করে এক নেটিজেনের সরস টিপ্পনি সবকটা কর্মচারী ফাঁকিবাজ। সবাই ভারতে একসঙ্গে বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল। তাই এদিকে সব ছড়িয়ে লাট হয়ে গেছে। যত সব অপদার্থের দল। নেহাতই মজা করে ফেসবুকে পোস্ট। কিন্তু মজার ছলে হলেও ইঙ্গিত স্পষ্ট। প্রসঙ্গত মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রি ম্যারেজ সেরিমনিতে হাজির ছিলেন মার্ক জুখারবার্গ ও বিল গেটসের মতো ধন কুবেররা। আর ভাগ্যের ফেরে সেই সময়ই বিগড়ে যায় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম।
আরেক রসিক নেটনাগরিকের পোস্ট “এইজন্যই ছেলেরা পরিচয় হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে মেয়েদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চায়। ফেসবুককে ভরসা করা যায় না। এই আছে এই নেই ”।
অপর নেটিজেনের সরস মন্তব্য “গতকালকের ঘটনা আমাকে ছোটবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিল। যখন লোডশেডিং হলে সবাই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে জিজ্ঞেস করতো কিরে তোর বাড়িতে আছে না কি গেছে ?”
কে বলে বাঙালির রসবোধ বা পরনিন্দা পরচর্চার সংস্কৃতি চলে গেছে ? আধারের বদল হয়েছে শুধু। রসিক, পিএনপিসি বাঙালি, কলতলা, পাড়ার ঠেকের বদলে বেছে নিয়েছে সামাজিক মাধ্যমকে। প্রৌঢ় থেকে জেড জেন প্রজন্ম, এও এক সামাজিক বিপ্লব বইকি।