
প্রতীতি ঘোষ, হাবড়া : পাঁশকুড়ায় চোর সন্দেহে এক নাবালক পিটিয়ে খুন করার পর , ফের হাবড়ায় বিস্কুট চুরি সন্দেহে ১৩ বছরের নাবালককে মারধরের অভিযোগ উঠল । সোমবার বিকেলে হাবড়া থানার সংহতি স্টেশন লাগোয়া শলুয়া এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। বিস্কুট চুরি সন্দেহে ১৩ বছরের নাবালক সন্দীপ হালদার কে কাঠের টুকরো দিয়ে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের সন্দীপ হালদার জানায় ,তার বাবা তাকে কাজে যাওয়ার আগে কুড়ি টাকা দিয়ে গেছিল। বিকেলে সন্দীপ বন্ধুদের সঙ্গে খেলার মাঠে যাবার সময় সংহতি সলুয়া রেলগেট লাভ আর শচীন্দ্রনাথ দাসের মুদি দোকানের সামনে বিস্কুট কিনতে দাঁড়ায়। ওই নাবালকের সাথে আরো পাঁচ বন্ধু ছিল। পাঁচ বন্ধুর মধ্যে দুই বন্ধু বিস্কুট নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দোকান থেকে। আর তারপরেই দোকানের মালিক শচীন্দ্রনাথ দাস সন্দীপ হালদারের উপর চড়াও হয় । চুরির অপবাদে কাঠের টুকরো দিয়ে নাবালকের নাকে আঘাত করে দোকানের মালিক।
নাবালকের বাবা ঘটনা স্থলে না থাকতে পারলেও ছেলেকে চোর সন্দেহে মারার জন্য রাত ১২ টা নাগাদ হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালকের বাবা। নাবালকের বাবা সঞ্জয় হালদার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে, বলেন ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে মারা হয়েছে।
তিনি আরও জানান , “মছলন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর পরে ডাক্তার বাবু ছেলেকে সিটি স্ক্যান করানোর কথা বলেন, সেইমতো ছেলেকে নিয়ে কলকাতা সিটি স্ক্যান করাতে যাচ্ছি তখন সংহতি স্টেশনের কাছে পথ আটকায় হাবরা থানার বাউগাছি পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই সুব্রত নায়েক।এই পুলিশকর্তার স্পষ্ট বক্তব্য অভিযোগ না করে টাকা পয়সা দিয়ে মিটিয়ে নিন।’’ আক্রান্ত নাবালকের বাবা সঞ্জয় হালদার অভিযুক্তের কঠোর স্বাস্তির দাবি করেছেন। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কিছুদিন আগেই পাঁশকুড়ার চিপস চুরির ঘটনায় আত্মহত্যা করেছিল এক নাবালক। আবারো চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ভিডিও দেখুন-