
ওঙ্কার ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পর তদন্তকারীরা তিন জনের স্কেচ প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে মূল সন্দেহভাজন ছিল পাকিস্তানের দুই জঙ্গি। এবার এই হামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল, হামলার অন্যতম মূল সন্দেহভাজন হাশিম মুসা কাজ করেছেন পাকিস্তানের সেনা বাহিনীতে! রীতিমত প্রশিক্ষণ নিয়ে সে ভারতে এসে হামলা চালিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবাতে যোগ দেওয়ার কারণে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুসাকে বরখাস্ত করেছিল। মনে করা হচ্ছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। মূলত শ্রীনগরের কাছে কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় তার কর্মকাণ্ড চালাত। সূত্রের খবর, সম্ভবত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি) মুসাকে লস্করে যোগ দিতে বলেছিল এবং কাশ্মীরে জঙ্গি সংগঠনের কাজকে শক্তিশালী করতে বলেছিল।
মুসা একজন প্রশিক্ষিত প্যারা কমান্ডো। সে আচমকা হামলা এবং গোপন অভিযানে বিশেষজ্ঞ বলে মত সূত্রের। এক সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রশিক্ষিত কমান্ডোরা সাধারণত অত্যাধুনিক অস্ত্র পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ, হাতে-কলমে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার ক্ষমতা এবং বেঁচে থাকায় দক্ষ হয়। সূত্রের মতে, জঙ্গিদের সহায়তাকারী একজন কাশ্মীরিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা মুসার বিষয়ে জানতে পেরেছেন, মুসা যে পাক সেনা বাহিনীতে কাজ করেছেন, সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে জিজ্ঞাসাবাদের ফলে।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদত রয়েছে। মুসার ভূমিকা প্রকাশ্যে আসার পর সেই অভিযোগে সিলমোহর পড়ল। মূলত, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআই-এর ভূমিকা এই হামলায় কার্যত এখন স্পষ্ট।