
স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার ঘরের মাঠ যুবভারতীতে হায়দরাবাদ এফসিকে ২-০ গোলে হারাল মোহনবাগান । আইএসএলে চার ম্যাচ পর জয়। কলকাতায় তৃতীয় ইনিংসে আন্তোনিও হাবাসের প্রথম। এদিন গোল করেন অনিরুদ্ধ থাপা এবং জেসন কামিন্স। তবে পাঁচ গোলে জিততে পারত মোহনবাগান। কিন্তু বিদেশিহীন তরুণ প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়েও একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেন কামিন্স, দিমিত্রি, মনবীররা। যার ফলে বাড়ল না গোল সংখ্যা। তবে ফেরান্দো পরবর্তী যুগে জয়ে ফিরে খুশি বাগান সমর্থকরা। ১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এল বাগান। ম্যাচের শেষে হাবাস বললেন,’অনেক দিন পর তিন পয়েন্ট পেলাম আমরা। এটা খুব দরকার ছিল। অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরও গোল হত। তবে দলের পারফরম্যান্সে ও মানসিকতায় আমি খুশি। তবে শেষ দিকে বক্সের মধ্যে খেলায় খুব একটা খুশি হতে পারিনি”।
সহাল আব্দুল সামাদের জায়গায় এ দিন ম্যাচের ৬১ মিনিটে ফিনল্যান্ডের ইউরো কাপার জনি কাউকো মাঠে নামলেন। চোটের কারণে ১৫ মাস পরে ফিরলেন কাউকো।
কাউকোর মাঠে ফেরা নিয়ে হাবাস এ দিন হাবাস বলেন, “জনি কাউকোর উপস্থিতি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরের ম্যাচগুলোতে ওকে আমাদের লাগবে। ভেবেছিলাম ওকে ৩০ মিনিট খেলাব। ও তার বেশিই খেলল, প্রায় ৩৫ মিনিট। ওর ব্যাপারে বেশি তাড়াহুড়ো করা যাবে না। কারণ, প্রায় এক বছর পর ও মাঠে নামছে। তবে ও পুরো ফিট এবং ওর ওপর আমার যথেষ্ট ভরসা আছে।ওর মতো একজন দৃঢ়চেতা মানুষ দরকার দলে। মাঝমাঠে ওর মতো দৃঢ় চরিত্রের খেলোয়াড় থাকলে অনেক সুবিধা হয়। ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, ওয়াইড মিডফিল্ডার এবং প্লেমেকার হিসেবে যথেষ্ট দক্ষ। মাঝমাঠে ওকে তিন-চারটি পজিশনে খেলিয়ে দেখা যেতে পারে। ব্যাপারটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ”।
এই ম্যাচে মোহনবাগানের যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা তিন খেলোয়াড়কেও মাঠে নামান হাবাস। দীপ্পেন্দু বিশ্বাস, অভিষেক সূর্যবংশী ও অমনদীপ ভান। তাঁদের প্রশংসা করে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “অ্যাকাডেমি থেকে আসা জুনিয়র ফুটবলাররাও খুবই ভাল খেলেছে। ওদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এ বার আমাদের এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হবে। দ্রুত খেলোয়াড়দের ফের চাঙ্গা করে তুলে প্রস্তুতি নিতে হবে”।আগামী বুধবার এফসির গোয়ার বিরুদ্ধে নামবে মোহনবাগান।