
সুমন্ত দাশগুপ্ত,নয়াদিল্লিঃ রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন। বিরোধীদের দাবি রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বিতর্কে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে বলতে দিতে হবে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বিরোধীদের দাবিকে নাকচ দেন। ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা ওয়াকআউট করেন। সব মিলে বুধবার হইহট্টগোল ময় সংসদের উচ্চকক্ষ।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন। তৃতীয়বার জয়ের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। গত ১০ বছরে এনডিএ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের পরাজয় নিয়ে আক্রমণ করেন তিনি। ভাষণের সময় প্রবল বিরোধের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী বেঞ্চ থেকে সদস্যরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। বিরোধীদের দাবি রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বিতর্কে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে বলতে দিতে হবে। সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বিরোধীদের দাবিকে নাকচ করে দেওয়ায় ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা ওয়াকআউট করে। মোদি বলেন, এদের কাজ হচ্ছে হইহট্টগোল করা আর সত্য শোনার বদলে সদন ছেড়ে চলে যাওয়া।
জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে, সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ থেকে জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি—বিভিন্ন ইস্যুতে ঝাঁজালো আক্রমণ করেন বিরোধীদের।
চোপড়া ও সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের চুপ থাকার সমালোচনা করেন করে মোদি বলেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ঘটনায় বিরোধীদের বাছাই করা মনোভাব অত্যন্ত উদ্বেগের, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ভিডিয়ো দেখেছি যেখানে একজন মহিলাকে নির্মমভাবে মারা হচ্ছে, এমনকী, বিরোধী নেতারাও এই বিষয় নিয়ে একটা শব্দ খরচ করেননি।