
তামসী রায় প্রধান, ওঙ্কারঃ আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ চলছে লাগাতার। চলছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিরোধীরা। দাবি উঠেছে আরও কঠোর আইন প্রণয়নের। কিন্তু এডিআর তথ্য বলছে, সংসদ, বিধানসভায় যারা আইন প্রণয়ন করেন সেই এমপি-এমএমএ-দের অনেকেই নারীর প্রতি জঘন্য আচরণে অভিযুক্ত। যেই তালিকায় বিজেপি কংগ্রেস তৃণমূল এমপি-এমএমএ-দের নাম রয়েছে।
আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে সবর গোটা দেশ। আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে গোটা দেশ সরব হওয়ায়। দাবি উঠেছে আরও কঠোর আইনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কঠোর আইন চেয়ে সরব হন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সংসদ, বিধানসভায় যারা আইন প্রণয়ন করেন সেই এমপি-এমএমএ-দের অনেকেই নারীর প্রতি জঘন্য আচরণে অভিযুক্ত।
ভোট পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফমর্স (এডিআর) প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, অভিযোগের তালিকায় ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগও আছে দেশের আইন প্রণেতাদের বিরুদ্ধে।
লোকসভা ও রাজ্যসভার ৭৫৫জন সাংসদ এবং দেশের ৩৯৩৮জন বিধায়কের মধ্যে ১৫১ জনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন-সহ নারী নির্যাতনের অভিযোগ আছে। তাদের মধ্যে ১৩৫জন বিধায়ক ও ১৬জন সাংসদ।
নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন এবং অন্যান্য অপরাধে যুক্ত থাকার মামলা সবচেয়ে বেশি আছে বিজেপির এমপি-এমএলএ-দের বিরুদ্ধে।
বিজেপির মোট ৫৪জন এই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত।
কংগ্রেসের ২৩জন এমপি-এমএলএ-র বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা চলছে।
তেলুগু দেশম দলের ১৭জনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন-সহ নারী নির্যাতনের অভিযোগ আছে।
আম আদমি পার্টির যথাক্রমে ১৩ জনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন-সহ নারী নির্যাতনের অপরাধের মামলা আছে।
বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও এডিআর তালিকায় খুব একটা পিছিয়ে নেই।
তৃণমূল কংগ্রেসের ১০জন এমপি-এমএলএ’র বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা বিচারাধীন।
বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (জেডিইউ) এর পাঁচ এমপি-এমএলএ’র বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা বলছে।
দলগতভাবে তৃণমূল অনেক পিছনের সারিতে থাকলেও নেতাদের বিরুদ্ধে নারীর প্রতি হিংসা, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে আছে বাংলা।