
ওঙ্কার ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা হামলা করতে পারে এমন খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সূত্রের খবর, জঙ্গিরা হামলার আগে ঘটনাস্থল রেকি করে গিয়েছিল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে। কেন আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও হামলা রোখা গেল না?
মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে চার পাঁচ জন জঙ্গি অস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায় পর্যটকদের উপর। গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় ২৮ জন মানুষকে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার সহযোগী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে এই নৃশংস জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড আদিল গুরু। যে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে ঢোকে কয়েক বছর আগে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানে ফিরে যায় সে। সূত্রের খবর, এই আদিল কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার যখন চার জঙ্গি হামলা চালায় তখন তিন জঙ্গি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিল। তিন জন পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় নিশ্চিত করছিল বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা যখন একে একে পর্যটকদের উপর গুলি চালাচ্ছিল, সেই সময় তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। যাতে ক্যামেরা লাগানো ছিল। গোটা হামলার ঘটনার ছবি তুলছিল ঘাতক জঙ্গিরা। কাশ্মীরে এত সেনা, এত নিরাপত্তা বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেন জঙ্গি হামলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
অন্য দিকে এই ঘটনার পিছনে পাকিস্তান রয়েছে বলে ক্রমশ সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। যদিও ইসলামাবাদের তরফে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার দায় অস্বীকার করা হয়েছে।