
ওঙ্কার ডেস্ক: ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীকে মঙ্গলবার বৈঠক থেকে কাজ করার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পহেলগাঁও কাণ্ড পরবর্তী পরিস্থিতিতে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই বৈঠকের পরদিন অর্থাৎ বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক করেন ২৩ এপ্রিল। যে কমিটিতে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী। পহেলগাঁও হামলার পর এই কমিটির এটি দ্বিতীয় বৈঠক। এদিন ক্যাবিনেট কমিটি অন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স বা সংক্ষেপে সিসিপিএ এর সঙ্গেও বৈঠক করেন মোদী। সাধারণত গোপন ও অতি জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে এই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এই কমিটিকে ‘সুপার ক্যাবিনেট’ বলা হয় কারণ এতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ মন্ত্রীরা থাকেন। সিসিপিএ শেষবার ২০১৯ সালে পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার পর বৈঠক করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ভারত বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল।
উল্লেখ্য, এক নেপালি-সহ ২৬ জনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সেই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে ওই ঘটনার পর থেকে টানা ছয় রাত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালিয়েছে। এই আবহে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চ পর্যায়ের এই সমস্ত বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।