
ওঙ্কার ডেস্ক: বিশেষ বিমানে চাপিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নিয়ে আসার পর তাকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। রাতে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এনআইএ এর বিশেষ আদালতে তোলা হলে তাহাউরকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কুখ্যাত এই সন্ত্রাসী এক সময় সেনা চিকিৎসক ছিল, কী ভাবে বদলে গেল তাহাউর?
১৯৬১ সালের ১২ জানুয়ারি পাকিস্তানের চিচাওয়াতিতে তাহাউরের জন্ম। ক্যাডেট কলেজ হাসান আবদালে পড়াশোনা৷ সেখানেই আলাপ ডেভিড হেডলির সঙ্গে। স্কুল জীবনের এই সহপাঠীর সঙ্গে মিলে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ছক কষেছিল তাহাউর রানা৷ স্কুলে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে কলেজে ভর্তি হয় রানা। কলেজের পড়াশোনা শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেয় রানা। কিন্তু সেই চাকরি শেষ পর্যন্ত করেনি রানা। ১৯৯৭ সালে সেনা চিকিৎসকের কাজ ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায় কানাডায়৷ ২০০১ সালে কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করে।
বিদেশে তাহাউর বিভিন্ন ব্যবসা খুলে বসে। অভিভাসন সংক্রান্ত একটি সংস্থা খোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শুধু তাই নয় হালাল কসাইখানাও খুলেছিল এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার সহপাঠী হেডলির সঙ্গে মিলে মুম্বইয়ে সন্ত্রাসী হামলা ঘটায়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ- চার্জশিটে দাবি করেছে, মুম্বইয়ে একটি অফিস তৈরি করতে তাহাউর রানা হেডলিকে সাহায্য করে। শুধু মুম্বইয়ে ২৬/১১-র হামলা নয়। এ ছাড়াও ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্রের দফতরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল রানা।
বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে রানাকে হেফাজতে নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এনআইএ-এর ১২ জন কর্মকর্তার একটি দল। যে দলে রয়েছেন ডিরেক্টর জেনারেল, দুই জন ইনস্পেক্টর জেনারেল, একজন ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট।