
ওঙ্কার ডেস্ক : ভারত ও পাকিস্তানের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে পাক সেনাদের গুলি চালানোর যোগ্য জবাব দিল ভারত। ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুঁড়িয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক পোস্ট। অপারেশন সিঁন্দুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে জঙ্গি শিবিরগুলিতে ভারত বিমান হামলা চালানোর পর, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালাতে চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তা রুখে দেয় ভারত। তবুও ফেলা গোলা বর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৫০টি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে।
পাক সেনাবাহিনী তাদের যে সব সামরিক ঘাঁটি থেকে হামলা চালাচ্ছিল সে সব কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানি সামরিক পোস্ট ধ্বংস করার প্রথম সরকারি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল X হ্যান্ডল-এ। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ওই সব পাক সামরিক পোস্টগুলিতে আঘাত করার জন্য ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভিডিওটি কোন সেক্টরের তা জানা যায়নি। তবে এটা বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না, ভারতীয় সেনাবাহিনী ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কার্যকর জবাব দিচ্ছে।
ভারতীয় সেনা বাহিনীর তরফে জানান হয়েছে, “পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী ২০২৫ সালের ৮ ও ৯ মে মধ্যরাতে সমগ্র পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে একাধিক আক্রমণ চালায়। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাক সেনারা বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (সিএফভি) করেছে”। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলা সাফল্যের সঙ্গে প্রতিহত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের “যথাযথ জবাব” দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর তুরফে আরও জুয়ানান হয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনী জাতির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমস্ত ঘৃণ্য পরিকল্পনার বল প্রয়োগের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে”। এর আগে, সেনাবাহিনী জানিয়েছিল যে ড্রোনগুলি জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল এবং সমস্ত হুমকি “দ্রুত নিষ্ক্রিয়” করা হয়েছিল।
ভারত পাকা সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে প্রত্যাশিত বিমান হামলার কারণে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কাছাকাছি একাধিক শহরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা জারি করা হয়েছিল। জম্মুর শ্রীনগর এবং পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বেশ কয়েকটি জায়গায় সারা রাত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এই জায়গাগুলি থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।