
ওঙ্কার ডেস্ক: “আমি নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। কিন্তু আজ আমি একটি কোম্পানির মালিক। আমি পারলে অন্য মহিলারা পারবেন না কেন ?” কথাটি এক সাধারণের মাঝেও অসাধারণ এক মহিলার। নাম- রুক্মিণীদেবী। কিন্তু কে এই মহিলা ?
রুক্মিণীদেবীর গল্পটা কিছুটা এরকম। রাজস্থানের দুঙ্গারপুর জেলার মাদোয়া খাপড়দা নামে একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা রুক্মিণী কাটারা। বর্তমান সময়ে তিনি নিজের সৌরশক্তি কোম্পানি খুলে মুগ্ধ করেছেন সকলকে। কিন্তু শুরুটা এমন ছিল না। সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গিয়েছে, একসময় ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেণ্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট অর্থাৎ নারেগা প্রকল্পে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন তিনি। তখনই রাজীবিকা নামে একটি সংস্থার নাম জানতে পারেন। তারপরেই সেই সংস্থায় যুক্ত হন রুক্মিনীদেবী। সেখানেই তিনি সৌরপ্যানেল তৈরী থেকে শুরু করে নানান কাজ নিজ দক্ষতায় শিখে ফেলেন। কাজ শিখে তিনি সুপারভাইজার পদে নিযুক্ত হন দূর্গা সোলার কোম্পানিতে। তারপরে তাঁকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তিনি সেই কোম্পানিরই সিইও। যার প্রতিমাসে টার্নওভার ৩.৫ কোটি টাকারও বেশি। নিজ দক্ষতা ও বুদ্ধিগুণে শুধু কাজ করছেন তাই নয় এলাকারই ৫০ জন মহিলাকে নিজের কোম্পানিতে কাজের সুযোগও করে দিয়েছেন রুক্মিণী।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুক্মিণীকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। সেইসময় থেকেই ভারতের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে এই সম্রাজ্ঞীর গল্প। সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ নারীদের কখনই কম শিক্ষার কারণে থেমে থাকা উচিত নয়। শিক্ষা কখনই সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাড়াতে পারে না”। এখন আর কোনও কষ্ট নেই রুক্মিণীর। তাঁর চার সন্তানকেই বানিয়েছেন সুশিক্ষিত। বড় ছেলে রাকেশ এবং মেয়ে আশা বি.এড করছেন। ছোট ছেলে প্রবীণ এবং যুবরাজ এখনও কলেজে পড়েন। এখনও মেয়েদের রোজগারের পথ তৈরি করে দিচ্ছেন রুক্মিনী। তাঁর কারণেই বহু মেয়ে স্বাবলম্বী। বহু ঘরে চড়ছে ভাতের হাড়ি। রুক্মিনী শুধু একটি কোম্পানির সিইও নন অনেক মেয়ের জন্য অনুপ্রেণাও।