
ওঙ্কার ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও কাণ্ড। তার পর ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, জঙ্গিদের রেহাই দেওয়া হবে না বলে। তখনই দেশবাসী ভেবে নিয়েছিলেন প্রত্যাঘাত আসন্ন। অবশেষে ৭ মে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে নয়টি জায়গায় আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার গভীর রাতের সেই অভিযানে কার্যত বেসামাল হয়ে যায় পাকিস্তান। তবুও জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাক প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রত্যাঘাত শুরু করে পাক বাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান থেকে একাধিক রকেট উড়ে আসে সীমান্তে। পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় জম্মুতে। আখনুর, সাম্বার মতো জায়গায় বেজে ওঠে সাইরেন। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাক হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। শুধু জম্মু নয়, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় পঞ্জাব, রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকাতেও।সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের মোট আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারতীয় বাহিনী। পাশাপাশি রাজস্থানের জয়সলমেরে পাকিস্তানি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় পাক হামলা প্রতিহত করার কথা। বিবৃতিতে বলা হয়, জম্মু, পঠানকোট এবং উধমপুরে সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাকিস্তান থেকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা। যদিও ভারতীয় বাহিনী সেই হামলা প্রতিহত করেছে বলেও জানায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
অন্য দিকে, চণ্ডীগড় এবং পঞ্জাবের পটীয়ালায় ‘এয়ার সাইরেন’ বেজে উঠেছে শুক্রবার। পাকিস্তান আঘাত হানতে পারে সেই আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এদিকে জম্মুকাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে একাধিক জায়গায় গোলাগুলি চালিয়েছে পাক বাহিনী। উত্তর কাশ্মীরের উরিতে পাক সেনার ছোঁড়া গোলার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার।
সব মিলিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ চড়ছে। গোটা দেশবাসী তাকিয়ে রয়েছেন পরিস্থিতির দিকে।